ফরিদপুরের বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা আমেনা খানের আজ (২৪ আগস্ট)পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ফরিদপুরের নিজস্ব বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থানে,কোরান খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং গরীব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
আমেনা খান আমৃত্যু মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি আশেপাশের মানুষকে অভূক্ত রেখে কখনো নিজে খেতেন না। ঈদ,পুজা পার্বনসহ সারা বছরইমানুষকে দান-খয়রাত করতেন এই মহীয়সী নারী। এ জন্য তিনি ফরিদপুরের মানুষের কাছে একজন পরপোকারী এবং ভালো হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তার স্বামী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সরকারি চাকরিজীবী মরহুম আমজাদ হোসেন খান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক আর্মিদের কাছে দীর্ঘদিন আটক থেকে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। সে সময় বড় সন্তানরা মুক্তিযুদ্ধে। এ অবস্থায় ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পালিয়ে বেড়িয়েছেন আমেনা খান।নিজের কষ্ট ও নানা প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবেই সহায়তা করতেন,নিজ হাতে রান্না করে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার খাওয়াতেন। এজন্য জীবিত থাকাকালে ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন আমেনা খান।
তিনি ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে আমেনা খান আট সন্তানসহ অনেক গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্খী রেখে যান। তার বড় সন্তান সাবেক সচিব ও নোয়াবের প্রধান উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, মেঝ ছেলে বিশিষ্ট সাংবাদিক কবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাহার খান, ছোট সন্তান সাংবাদিক রাজীব খান এবং ছোট মেয়ে ইয়াসমিন খালেদ খুকু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সদস্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন