শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

প্রবাসীদের টার্গেট করে ইমো হ্যাক, লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন তারা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ২:১৯ পিএম

প্রবাসীদের টার্গেট করে কৌশলে ইমো নম্বর সংগ্রহ করে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করত একটি প্রতারত চক্র। অবস্থা বুঝে সেই ইমো নম্বর হ্যাকড। এরপর অভিনব পন্থায় হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা। এমনই একটি চক্র ধরা পড়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জালে। প্রতারিত হওয়া ঢাকার এক ব্যক্তির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে চক্রটির সন্ধান মেলে। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার দুজন হলেন- পলাশ আলী ও সাব্বির হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুনায়েদ আলম সরকার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এই চক্রটির প্রধান টার্গেট প্রবাসীরা। মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বেশি ইমো ব্যবহার করে থাকেন। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করে আসছে চক্রটি।

তিনি আরও বলেন, অভিনব কৌশলে প্রবাসী ব্যক্তি অথবা তার পরিবারের সদস্যদের ইমো আইডি হ্যাক করার জন্য একটি কোড এসএমএস করে প্রতারকরা। পরে নানা কৌশলে তারা ওই কোড জেনে আইডি হ্যাক করে। এরপর অসুস্থতাসহ নানা বিপদের কথা বলে আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল চক্রটি।

গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতার প্রতারক চক্রের সদস্য সাব্বির হোসেন তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে বিশেষ পারদর্শী। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মোবাইল নম্বর কৌশলে সংগ্রহ করে পলাশ আলীকে দেন। পলাশ নানাভাবে ইমো হ্যাক করে ব্যবহারকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। পরে আত্মীয়-স্বজনের বিপদ বা অসুস্থের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার পলাশের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আগে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। এখন সব ছেড়ে প্রতারণা শুরু করেছেন। আর সাব্বিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। পেশা ছাত্র হলেও ২০১৮ সাল থেকে প্রতারণা করে আসছিলেন তারা।

ইমো হ্যাক ও এ ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে নানা পরামর্শ দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা একটু সচেতন হলেই এ ধরনের প্রতারণা হাত থেকে বাঁচতে পারি। কোনো ধরনের ওটিপি বা কোড অপরিচিতি বা পরিচিত কারো সঙ্গে শেয়ার না করা। আত্মীয়-স্বজনরা ইমোতে বিপদের কথা বলে টাকা চাইলে যাচাই-বাছাই করা উচিত । আপনার ইমো অ্যাকাউন্টটি অন্য কেউ ব্যবহার করছে কি-না সেটি যাচাইয়ের জন্য ইমো সিটিংসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি অপশনে ম্যানেজ ডিভাইসে ক্লিক করলেই জানতে পারবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Yousman Ali ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৫:১১ পিএম says : 0
আগে রিমান্ডে পরে সাজা
Total Reply(0)
Ismail hossain ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৮:০১ পিএম says : 0
oder mnake marar dourkar
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন