রাজশাহীর বাঘা সীমান্ত এলাকায় ইমো এবং বিকাশ হ্যাকার চক্রের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক শ্রেনীর উঠতি বয়সি যুবকরা এ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে হ্যাক করা টাকায় করছে মাদক সেবন। এমন এক প্রেক্ষাপট থেকে রাকিবুল ইসলাম নামে এক কুখ্যাত হ্যাকারকে ৮০ হাজার নগদ টাকা, দুই প্রকার মাদক, ৩ টা মোবাইল এবং ১৫ টি সিমকাড-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৩ টার সময় উপজেলার মহদিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন যুবক ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে রক্ষা পায়।
জানা যায়, সম্প্রতি র্যাব, থানা এবং ডিবি পুলিশের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধ শতাধিক ইমো এবং বিকাশ হ্যাকার চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অত:পর গ্রেফতার কৃতদের মুখ থেকে অনেকের নাম সহ বেশ কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বাঘা উপজেলার সকল বিকাশ এজেন্ট এবং (ডিএসও) যারা টাকা সরবরাহ করেন, এমন ব্যাক্তিদের থানায় ডেকে আলোচনা সভার মাধ্যমে প্রত্যেক এজেন্টদের সতর্ক করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন। তার পরেও থেমে নেই এই চক্রের কার্যক্রম। অনেকেই বিকাশ এবং ইমো হ্যাকের টাকা দিয়ে মাদক সেবন করছে। যার প্রমান মিলেছে ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে।
বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই)স্বপন হোসেন ও আব্দুর রউফ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত আনুমানিক তিন টার দিকে তাঁরা সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে উপজেলার মহদিপুর উত্তর আতার পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখেন একটি ফাঁকা ঘরের মধ্যে ৪-৫ জন যুবক মাদক সেবন করছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালিয়ে গেলেও আটকে পড়েন ঐ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে কুখ্যাত হ্যাকার রাকিবুল ইসলাম (২৬)। অত:পর তার কাছ থেকে পুলিশ নগদ ৮০ হাজার টাকা ১৫ টা সিম কার্ড, ৩ টা মোবাইল ৫ গ্রাম হেরোইন এবং ৪ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এর মধ্যে দুইটা সিমে বিকাশ খোলা রয়েছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিকাশ থেকে টাকা বের করাটা হ্যাকিং নয়, এটা এক ধরনের ডাকাতি। আমরা এটি নির্মুল করতে চায়। আমি যতোদিন এ থানায় আছি মাদক এবং ইমো-বিকাশ হ্যাকারদের সাথে কোন আপোশ নেই। তিনি আসামীর নামে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন