আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মো. আনিসুল হক বলেছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে খুনি মোস্তাক ও মেজর জিয়াউর রহমানের দোসররা বাংলাদেশটাকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ নামক দেশ ও স্বপ্নটাকে ওরা মুছে দিতে চেয়েছিল। ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করে রেখেছিল।
আজ রোববার শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালী বিশেষ আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও আইনি পর্যালোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এফ আই আর করেন। এসব কথা বলতে বড় লজ্জা লাগে যে সরকার নামের পাকিস্থানি দালালরা অন্ধ আইন করে রেখেছিল। তার পরেও বর্তমান প্রজন্মকে ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল কালো রাত্রি এবং বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের হত্যাকান্ড ও বিচারিক বিশ্লেষন সম্পর্কে জানতে হবে। আজ জাতির পিতা আমাদের মাঝে বেচেঁ থাকলে বাংলাদেশ বিশ^ দরবারে আরো উন্নত স্থানের অবস্থানে থাকত। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আমাদের সকলের ঐকান্তিক চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এছাড়া মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক দীর্ঘ সময় ভার্চূয়ালী আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, বিচার ও তার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আইনি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করেন।
আইন অনুষদের আয়োজনে একাডেমিক ভবনে আইন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এ.কিউ.এম মাহবুব। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইন অনুষদের ডিন ও প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মানসুরা খানম, জনসংযোগ বিবাগের উপ পরিচালক মো. মাহ্বুবুল আলমসহ বিশ^বিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। আলোচনা সভায় আইন বিভাগের ছাত্র ছাত্রী ও গোপালগঞ্জে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন