স্টাফ রিপোর্টার : আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের হিসাব অনুযায়ী গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলা নিষ্পত্তির জন্য অচিরেই সারাদেশে ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান।
সরকারী দলের সদস্য বেগম আরা লুৎফা ডালিয়ার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, পুরাতন মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রত্যেক আদালতে সাক্ষীর সমন জারী নিশ্চিত করে সাক্ষীগণকে হাজির করে দ্রæততম সময়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পুরাতন মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সলিসিটারের নেতৃত্বে মনিটরিং সেল কাজ করছে। প্রতি জেলায় কেস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠণ করা হয়েছে। তিনি জানান, বিচারকের শূন্যপদ পূরণের কাজ চলছে। একইসঙ্গে অধিক সংখ্যক বিচারকের পদ সৃষ্টিসহ নিয়োগ এবং আদালতের অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এছাড়াও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলার জট কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বেগম আখতার জাহানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, অতি সম্প্রতি ২৫০ জন সিনিয়র সহকারি জজ/সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ সমপর্যায়ের বিচারকদের যুগ্ম জেলা জজ/ সমপর্যায়ের পদে পদোন্নতি প্রদান করায় উক্ত পদগুলো শূন্য হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ম জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ ১০০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৭ জনকে সহকারি জজ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয় কর্তৃক ১০ম জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা, ২০১৫ এর মাধ্যমে সাময়িকভাবে মনোনীত ২০৭ জন প্রার্থীর প্রাক পরিচয় যাচাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া ১১তম জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা, ২০১৭ এর মাধ্যমে ১৪৩ জন সহকারি জজ নিয়োগের লক্ষ্যে প্রিলিমিনারী পরীক্ষা গ্রহন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। দ্রæতই উক্ত শূণ্য পদসমূহে বিচারক পদায়ন করা হবে।
সরকারি দলের মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন বিচার প্রার্থী জনগণকে যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী রয়েছেন। তাদেরকে আইনি সেবা প্রদানের জন্য বর্তমান সরকার ৬৪ জেলায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করেছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে কর্মসম্পদনের জন্য অফিসার ব্যতিত কর্মচারীর ১৯২টি পদ সৃজন করে নিয়োগ প্রদান করেছে। তিনি জানান, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫৭ হাজার ৮৯ জন সহযোগিতা পেয়েছে। উক্ত অর্থ-বছরে মোট তহবিলের ৯৮ দশমিক ২১ ভাগ খরচ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন