শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অনেক দিন পর লোহাগাড়ায় বঙ্গবন্ধুর শোকসভা মঞ্চে চিরবৈরী বিপ্লব-আমিন-নদভী, ঐক্যের ডাক

লোহাগাড়া থেকে ফিরে মোঃ সাদাত উল্লাহ | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৮:১৪ পিএম

অনেক দিন পর এক মঞ্চে চিরবৈরী মনোভাবাপন্ন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া,আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ও সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী কে ঘিরে এলাকার নেতাকর্মীদের মাঝে ছিলো উৎসবের আমেজ। দেখা মিললো ঐক্যের সুর। বহুদিন পর একই মঞ্চে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার তিন নেতাকে দেখে অনুসারীদের মাঝে চলে কানাঘুষা। প্রত্যেক নেতার অনুসারীরা ব্যনার, ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে শোক সভা স্থলে আসেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো মঞ্চ ও সভাস্থল। নেতাদের আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যের ডাক দিলে অনুসারীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। এখন থেকে যে কোন কাজ দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় এমপির সমন্বয়ে করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বক্তব্য প্রদান করা হয়।

আজ ৩০ আগষ্ট বিকেলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী স্মরণে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভাটি আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের এমপি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি চারণে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সোনার বাংলা গড়ার কারিগর। তিনি দেশকে পৃথিবীর অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সত্য, ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তার পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি। তার দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলোকে সম্পন্ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে । দেশ আজ বিশ্বরোল মডেল হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে। তার এ সফলতাকে বাধাগ্রস্ত করতে বিরোধী দল আজ উঠে পড়ে লেগেছে। বিএনপি জামায়াত এ দেশকে মৌলবাদী ও জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অনুষ্ঠানে ৯ ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন