পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর শহরের কানুয়া মহল্লার শিরিন মঞ্জিল থেকে গতকাল দুপুরে জান্নাতুল ফেরদৌস মুনমুন নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ইলেট্রনিক্স ব্যবসায়ী সুমনের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মেয়ে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তার স্বামী সুমন হাওলাদার, শাশুড়ি শিরিন বেগম, ননদ নুপুর আক্তারকে আটক করেছে।
স্থানীয় ও মুনমুনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার কানুয়া মহল্লার সোহরাব হোসেন হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদারের সঙ্গে মুনমুনের বিয়ে হয়। ওই সংসারে নিহত মুনমুনের সাড়ে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই মুনমুনকে তার স্বামী ও তার স্বজনরা মারধর করত। গতকাল সকালে সুমনের এক প্রতিবেশী মুনমুনের বোন স্নিগ্ধাকে জানান, তার বোনের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তাকে উদ্ধার করার জন্য বলা হয়। পরে তারা এসে থানা পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘরের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া থানায় নিয়ে যায়।
মুনমুনের বোন স্নিগ্ধার অভিযোগ, তার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একটি চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ভেন্টিলেটর হাত দিয়ে ধরা সম্ভব নয়। ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। মুনমুনের স্বামী সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন