তালেবান মুখপাত্র আশা করেন, ইসলামাবাদ তার শান্তি প্রচেষ্টা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আফগান জাতির প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখবে। আফগানিস্তানের জনগণের প্রতি পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের অবদানের জন্য তালেবানরা প্রশংসা করে বলেছে যে, দেশটি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের আরোপিত ২০ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের শেষে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে।
আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ আশা করেন যে, পাকিস্তান তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তিনি পাক-আফগান ইয়ুথ ফোরামের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘একসাথে আফগানিস্তান পুনর্গঠন’ শীর্ষক ভাষণে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আফগান জাতির প্রতি পাকিস্তানের সাহায্য তার শান্তি প্রচেষ্টা এবং দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অব্যাহত থাকবে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের জন্য কোনো হুমকি থাকবে না। মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) স¤প্রসারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একদিন আগে, তালেবান মুখপাত্র একটি ইতালীয় সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টায় চীন তাদের ‘প্রধান অংশীদার’ হবে। তিনি বলেন, চীন আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করতে এবং আফগানিস্তানকে পুনর্গঠনে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে, তালিবান চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগকে মূল্য দেয়, কারণ বহু বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প প্রাচীন সিল্ক রোডকে পুনরুজ্জীবিত করবে।
মুজাহিদ বলেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানোর জন্য চীন আফগানিস্তানের জন্য একটি ‘পাসপোর্ট’ এবং যোগ করেন যে, প্রতিবেশী দেশ তাদের সমৃদ্ধ তামার সম্পদ ব্যবহার করতে তাদের সাহায্য করবে। রাশিয়ানকে এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কাবুল মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, তুরস্ক ও কাতার তাদের কাবুল বিমানবন্দরে বিমান চলাচল পুনরায় চালু করতে সাহায্য করছে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন