আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, পাকিস্তানের হেলিকপ্টার হামলায় খোস্ত এবং কুনার প্রদেশে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে পাক এয়ারস্ট্রাইকের প্রতিবাদ জানাতে আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল তালেবান প্রশাসন।
আফগান ভূখণ্ডে পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার হামলায় ক্ষুব্ধ হয়েছে আফগানিস্তানের শাসক গোষ্ঠী তালেবান। আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রোববার তালেবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলেন, কোনও ভাবেই দখলদারি মেনে নেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, এর আগে তালেবানের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, পাকিস্তানের হেলিকপ্টার হামলায় আফগানিস্তানের খোস্ত এবং কুনার প্রদেশে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। এরপরই তালেবানের পক্ষ থেকে এই কড়া প্রতিক্রিয়া এল।
এদিকে পাকিস্তানের তরফে আফগানিস্তানকে ‘ভাই’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই এয়ারস্ট্রাইক প্রসঙ্গে কোনও বাক্য খরচ করেনি ইসলামাবাদ। এই আবহে তালেবান প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লাহ মহম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘আমরা বিশ্ব এবং আমাদের প্রতিবেশী উভয়ের থেকেই সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। কুনারে আমাদের ভূখণ্ডে তাদের আক্রমণ এর স্পষ্ট উদাহরণ। আমরা আর এই আগ্রাসন সহ্য করতে পারি না। আমরা বহুদিন এই ধরনের হামলা সহ্য করেছি। জাতীয় স্বার্থে আমরা তা সহ্য করেছি, কিন্তু পরের বার হয়ত তা আর সহ্য করব না আমরা।’
এর আগে গত সপ্তাহে এয়ারস্ট্রাইকের প্রতিবাদ জানাতে আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল তালেবান প্রশাসন। এদিকে তালেবান মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। উলটে বলেন, দুই দেশের মধ্যে শান্তি বিরাজ করতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভাইয়ের মতো দুই দেশ। উভয় দেশের সরকার এবং জনগণ সন্ত্রাসবাদকে একটি গুরুতর হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে এবং দীর্ঘকাল ধরে এই দুর্যোগে ভুগছে... অতএব, সীমান্ত সন্ত্রাস মোকাবিলায় সহযোগিতা করার জন্য আমাদের দুই দেশকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এবং আফগানিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন