এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, সামনের ৬ মাস সবচেয়ে বড় কঠিন সময়। অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এ ৬ মাস খুবই ভয়াবহতা হতে পারে। তাই আমাদের এখন আমাদের একটাই টার্গেট শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাকে নিরাপদ রাখতে হবে। সুতরাং আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম তাদেরকেই লড়াই করতে হবে। মাঠে থাকতে হবে।
এ কারণে আগামী অক্টোবরে শুরুতে একটি বড় সমাবেশ করবো। এর আগে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে আমরা কর্মী সভা করবো। ২৭টি ওয়ার্ডে কর্মী সভা করবো। আমিও পরে সবগুলো ওয়ার্ডে যাবো। এর পরে আমরা রাস্তায় নামবো। রাস্তার শ্রমিক রিকশাওয়ালা হকারদের জানাবো আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। আমার কোন আলিশান বাড়ির মালিককে দরকার নাই।
এটা করতে হবে আমাদের ক্ষমতার জন্য না বরং দেশের স্বার্থে। আমি অনেক কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু ভেতরে যা হচ্ছে তা খুবই ভয়ঙ্কর।
৬ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাব মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
আমাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু প্রধানমন্ত্রী না। তিনি আমাদের কাছে আমাদের বিকল্প মা। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বললে অধিকার নিয়ে কথা বলি। আমরা যখন তাঁর সঙ্গে একদিন বসেছিলাম তখন তিনি আমাদের বলেছেন, শামীম আমি হলাম নীলকণ্ঠি। আমি বিষ খেয়েও হজম করতে পারি। তাঁর সেই কথা আমি অনুসরণ করি। নেত্রী যদি সব হজম করতে পারে তাহলে আমরা কর্মীরা কেন পারবো না।
কিন্তু এত বিষ হজম করতে হবে সেটা বুঝি নাই। শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয় একজন শুনে ৫ জন। তাদের কেউ কেউ আমাকে খুনী বলতাছে কেউ ওমুক বলতাছে এসব এখন আর গায়ে লাগে না।
তিনি বলেন, আমার বাবা মা ভাইয়ের কবরে শ্মশানের মাটি দেওয়া হয়েছিল। এতে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি গাড়িতে বসে কেঁদেছিলাম। আমি আশা করেছিলাম আমাকে ফোন করে বলবেন, ভাই বিষয়টা আমি দেখছি। কিন্তু সেটাও হয়নি। ঘটনার পরদিন যখন গেলাম তখন গিয়ে দেখি মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকের কবরও মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলে। আমি ওই ঘটনায় কষ্ট পেয়েছিলাম। যদি আমি আমার কষ্ট বহিঃপ্রকাশ দেখাতাম চোখ দিয়ে পানি ঝরাতাম তাহলে নারায়ণগঞ্জে শুধু মাথা দেখা যাবে মাটি দেখা যাবে না। কিন্তু আমি সেটা করি নাই। করলে শয়তানদের জয় হতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন