কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে গতকাল সোমবার ৪র্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। তবে সাক্ষ্য গ্রহণকালে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মিডিয়ায় কথা বলতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় গত ২৫ আগস্ট থেকে পর পর তিন দিন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সাহিদল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামিদের পক্ষে জেরা শেষ করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ আসামিদের কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেয়া হয়। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে ৪র্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এর আগে রোববার মোহাম্মদ আলী নামের ৩নং সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য আসামিদের নিয়ে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
এর আগে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা ৩ দিন মামলার ১নং সাক্ষী ও বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। যদিও ৬ সেপ্টেম্বর চার্জশীটের ৭ থেকে ১০ নম্বর সাক্ষী, ৭ সেপ্টেম্বর ১১ থেকে ১৩ নম্বর সাক্ষী এবং ৮ সেপ্টেম্বর ১৪ থেকে ১৫ নং সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির থাকার জন্য সমন জারি করা হয়েছে বলে জানান-সেরেস্তাদার এম. নুরুল কবির। গত ২৩ আগস্ট সকালে কক্সবাজারের জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সন্তোষ বড়ুয়া জানান, এ মামলায় ৮৩ জন চার্জসিটভুক্ত সাক্ষী রয়েছে। চলতি বছরের গত ২৭ জুন সকল আসামির উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন