শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রাবি ভিসি সোবহানের দেয়া ১৩৮ জনের নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা না নেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ভিসি সোবহানের চাকরি মেয়াদের শেষ কার্যদিবসের আগের রাতে দেয়া ১৩৮ জনের নিয়োগ স্থগিত করেন আদালত। রিটের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল ও আদেশ জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া আদেশ সম্পর্কে বলেন, রাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের দেয়া ১৩৮ জনের নিয়োগ স্থগিত করেছেন আদালত। ৩ মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩১ আগস্ট কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রাবিতে নিয়োগ দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। রিটে বিতর্কিত নিয়োগ স্থগিতের পাশাপাশি ভিসি সোবহানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ মে শেষ কার্যদিবসের আগের রাতে ভিসি ড. সোবহান ৯ জন শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিভিন্ন পদে ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন। এর আগে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন করে নিজের মেয়ে-জামাতাসহ ৩৪ জন শিক্ষককে অবৈধ উপায়ে নিয়োগ দেন। এসব নিয়োগকে ‘অবৈধ’ অ্যাখ্যা দিয়ে ১৭৫ জনের নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। সর্বশেষ ১৪১ জনের নিয়োগকে কেন্দ্র করে ৬ মে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একাধিক বিবদমান গ্রুপসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ১৪১ জনের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ইউজিসির সিনিয়র সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়, এ ব্যাপারে কমিটিকে সুপারিশ দিতে বলা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে ড. সোবহান, একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, দুইজন সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ভিসির মেয়ে জামাতাকে বিতর্কিত নিয়োগে সরাসরি দায়ী বলে চিহ্নিত করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন