শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জাতীয় গ্রীডের পশ্চিম জোনে বিপর্যয় দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলা অন্ধকারে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:০৬ পিএম

জাতীয় গ্রীডের পশ্চিম জোনে গোলযোগের কারনে রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলা অন্ধকারে। এ গোলযোগের কারণে একযোগে বরিশালে সামিট পাওয়ারের ১১০ মেগাওয়াট ও ভেলার ২২৫ মেগাওয়াটের পাওয়ার স্টেশন দুটি সহ পশ্চিম জোনের বেশীরভাগ বিদ্যুৎ উপাদন কেন্দ্র ট্রিপ করে বন্ধ হয়ে গেছে। একই সাথে ভোলা-বরিশাল ২২৫ কেভি, বরিশাল-বাগেরহাট-খুলনা ১৩২ কেভী এবং ভেড়ামাড়া-ফরিদপুর-বরিশাল ডবল সার্কিট ১৩২ কেভি এবং বরিশাল-পটুয়াখালী সিঙ্গেল সার্কিট ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনও ট্রিপ করে যায়।
তবে এ গোলযোগে পর পরই বিপর্যয় মোকাবেলায় খুলনা আঞ্চলিক লোড ডেসপাস সেন্টার এবং বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে গ্রীড সাব-স্টেশনের প্রকৌশলী ও কর্মীরা ‘অপারেশন ব্লাক আউট’ পদ্ধতি অবলম্বন করে ইষ্টার্ন জোনের সাহায়তায় প্রথমে ওয়েষ্টার্ণ জোনের সঞ্চালন লাইনগুলো সচল করতে সক্ষম হন। রাত ৯টার পর পরই বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের গ্রীড সাব-স্টেশনগুলোতে অতি সিমিত ‘স্টেশন লোড’ পৌছে দিয়ে সবগুলো ১৩২/৩৩ কেভী সাব-স্টেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে।
রাত সোয়া ৯টায় বরিশালে প্রথমে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হলেও সাড়ে ৯টার দিকে দেড়শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে বরিশাল গ্রীড সাব-স্টেশনে মাত্র ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ শুরু হয়।
তবে এ গ্রীড বিপর্যয়ে পশ্চিম জোনের বেশীরভাগ পাওয়ার স্টেশনই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। পাওয়ার গ্রীড কোাম্পানী ও ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর দায়িত্বশীল প্রকৌশলীদের মতে রাতের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চল সহ ওয়েষ্টার্ণ জোনের বেশীরভাগ পাওয়ার স্টেশন চালও হলে মধ্য রাতের পর থেকে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে ভোলা ২২৫ মেগাওয়টের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করতে সকাল হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীল প্রকৌশলীগন।
কিন্তু কি কারনে জাতীয় গ্রীড ট্রিপ করে এ বিপর্যয় ঘটল তাৎক্ষনিকভাবে তা বলতে পারেন নি কেউ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন