ছাত্রছাত্রীদের পদচারনা আর ক্লাসে বই খাতা নিয়ে পড়াশোনা শুরু হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পরে সারা দেশের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। অবসান হয়েছে ছাত্রÑছাত্রী আর অভিভাবকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার । তবে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন হয়নি। এমনকি কতভাগ শিক্ষক এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও তদোর্ধ শ্রেণীর কতভাগ ছাত্রÑছাত্রী করোনা প্রতিশেধক ভেকসিন নিয়েছেন, তারও কোন পরিসংখ্যান নেই কতৃপক্ষের কাছে ।
বরিশাল ও পটুয়াখালী বিশ^বিদ্যালয় দুটি খোলার কোন দিনক্ষন এখনো ঠিক হয়নি। রোবাবার সকাল থেকেই বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো জেলা উপজেলা থেকে শুরু করে গ্রমেগঞ্জের ৬ হাজার ২৫১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ হাজার ৬৩৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২২৮টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ১৬৭টি বিভিন্ন ধরনের মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের আগমন শুরু হয়। দীর্ঘদিন পরে পড়ার সাথীদের দেখা পেয়ে উচ্ছাস ধরে রাখতে পারেনি বেশীরভাগ শিক্ষার্থীই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও প্রাণপ্রিয় ছাত্রÑছাত্রীদের নিয়ে ক্লাসে বসতে পেরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। অভিভাবকগনও অন্য অভিভাবকদের দেখা পেয়ে দীর্ঘদিনের ভালমন্দ ভাগাভাগি করেছেন ।
তবে দীর্ঘ দেড় বছর পরে দক্ষিণাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ১০ লাখ ৩২ হাজার ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যামিক মাদ্রাসাগুলোর ২ লাখ ৮২ হাজার ছাত্রÑছাত্রীর কতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান বলতে পারেননি কেউ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মতে, প্রথমদিনে উপস্থিতির হার ৯০ ভাগের বেশীই ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন