শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শেরপুরে শিক্ষার্থীর পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেল বিদ্যালয়

শেরপুর জেলা সংবাদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:২১ পিএম

দীর্ঘ বন্ধের পর ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা, প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেল বিদ্যালয়। সরাসরি পাঠদানে অংশ নিয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে ঢুকেই যেন খুশিতে আত্মহারা কোমলমতি শিক্ষার্থী। মনে হচ্ছে বছরের প্রথম দিনে নব উদ্যামে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশ করাচ্ছে শিক্ষকরা। স্কুলের ফটকে রাখা আছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। দেওয়া হচ্ছে মাস্ক। ক্লাস চালু হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ উল্লাস দেখা গেছে। ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন অভিভাবকরাও।

শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুরাইয়া মিলোজ এনি জানান, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললেও শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি ছিল। স্কুল খুলবে এই প্রতিক্ষায় তারা অপেক্ষা করেছিল আগে থেকেই তাই প্রথম দিনেই শতভাগ উপস্থিতি।

শেরপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা আজমেরী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি ছিল শতভাগ ছাত্র/ছাত্রী। করোনায় দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার পরও আমাদের ছাত্র/ছাত্রী কমেনি। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য হাতধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক দিন পর বিদ্যালয় খোলায় শিক্ষার্থীরা খুবই আনন্দিত।

শেরপুর সদর উপজেলার ফসিহ উল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসায় তারা স্বাস্থবিধি মেনে ক্লাস শুরু করেছেন। তিনি বলেন, আজ প্রথম দিনে উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও আগামী দুই একদিনের মধ্যে শতভাগ হবে আশা করছি।

উত্তর গৌরিপুর মডেল স্কুলের (কেজি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা স্বাস্থবিধি মেনে স্কুল শুরু করেছি। আমাদের স্কুলে অনেক শিক্ষার্থীই আজ আসেনি। তবে কি কারণে অনুপস্থিত তারা তা আমাদের জানা নেই।

দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ে পা রেখেই আনন্দ-উচ্ছাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা। সবারই চোখে-মুখে ছিল খুশির ঝিলিক।

শেরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফির রহমান প্রান্ত বলেন, দীর্ঘ দিন বন্ধের পর স্কুলে এসে আমাদের খুব ভালো লাগছে। আমরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসতে চাই। আমরা আমােদের স্যার/ম্যাম ও শিক্ষার্থীদের সাথে অনেকদিন পর দেখা করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

এদিকে বিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সন্তুষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম বলেন, স্বাস্থবিধি মানার ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুল কলেজের পরিবেশগুলো ভাল ছিল। করোনার এ সময়েও আজকের উপস্থিতি ছিল অনেক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন