আলজেরিয়ার জুডো খেলোয়াড় ফেথি নরিন ও তার কোচকে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন। ইসরাইলি জুডো খেলোয়াড় তোহার বুতবুলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে হবে, এ কারণে টোকিও অলিম্পিক থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন ফেথি নরিন।
টোকিও অলিম্পিকে ৩০ বছর বয়সী নরিনের ছেলেদের ৭৩ কেজি ইভেন্টে সুদানের মোহাম্মদ আব্দুল রসুলের বিপক্ষে খেলা ছিল। এ ম্যাচে জয় পেলে ইসরাইলের বুতবুলের বিপক্ষে খেলতে হত তাকে। এ কারণে তিনি অলিম্পিক থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন।
নরিন সে সময় বলেছিলেন ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন থাকায় তিনি কোন ইসরাইলি খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলবেন না। এরপরই তাকে ও তার কোচকে আলজেরিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যায় দেশটির অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানায় নরিন ও তার কোচ অলিম্পিককে রাজনীতি ও ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছেন। যা অলিম্পিকের নীতির বিরোধী। তাই তাকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৩০ বছর বয়সী নরিনকে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কার্যত কার ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন।
এর আগে ২০১৯ সালে ঠিক একই কারণে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশীপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নরিন।
এদিকে ইসরাইলের জুডো খেলোয়াড়রা এবারই প্রথমবারের মতো এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পরেননি। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে মিশরের ইসলাম আল শেহাবি তার ইসরাইলি প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান। এবং এরপর জুডো থেকেই অবসর নেন তিনি।
গত এপ্রিলে আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন ইরানকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে, কারণ দেশটি তাদের এক জুডো খেলোয়াড়ে ইসরাইলি প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে খেলতে বারণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন