বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পানিবদ্ধতায় কৃষকের মাথায় হাত

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প

মাহবুব আলম লাভলু,মতলব (চাঁদপুর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে আবারও পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার থেকে প্রবল বর্ষণের কারণে ও পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতায় মারাত্মক পানিবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়। গত মাসের পানিবদ্ধতার রেশ কেটে ঘুরে দাঁড়ানোর পর আবার পানিবদ্ধতার ফলে কৃষকের মাথায় হাত।

ময়লা-আবর্জনায় ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সড়তে পারছে না। যার কারনে এ মারাত্মক পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, বাড়ি,রাস্তা ও মৎস্য খামার। গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের ভারী বর্ষণে এ বছর পানিবদ্ধতা দেখা দেয়। পানিবদ্ধতায় রোপা আমনের বীজ তলা, আমন, আউস ধান ও সবজির মারাত্মক ক্ষতি হয়। কৃষকরা সে ক্ষতি পর আবারও জমিতে আবাদ করে। এবারের পানিবদ্ধতায় আবার তাদের আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে।
হানির পাড় গ্রামের লাল মিয়া, শহর আলী, আলী আজমসহ স্থানীয় বহু কৃষক জানান, এবারের ভয়াবহ পানিবদ্ধতায় বহু কৃষকের তিনবার পর্যন্ত তৈরি করা আমনের বীজতলা, রোপা আমন ও আউস ধানের সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে। পানিবদ্ধতার কারণে প্রকল্প এলাকায় এক-তৃতীয়াংশ জমি চাষবিহীন অবস্থায় খালি পড়ে থাকবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, গত মাসে সৃষ্ট পানিবদ্ধতা কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবার নতুন আবাদ করেছে। পানিবদ্ধতা কৃষক মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান, ভারী বর্ষণে সেচ প্রকল্পের ভিতরে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হযেছে। আমি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। পাউবোর নিস্কাশন খালগুলো সংস্কার করাই পানিবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাওয়ার মূল উপায়। আমি এ বিষয়ে পাউবোর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, পাম্পের মাধ্যমে পানি দ্রুত নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাউবোর পানি নিস্কাশন খালগুলো দখল মুক্ত ও সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন