শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে ধীরগতি

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

কুতুবদিয়ায় ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ ৯০ ভাগ শেষ হলেও কাজে ধীরগতি পিছু ছাড়ছেনা। ফলে নতুন করে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসার ভাঙনে আরো সাড়ে ৮ কিলোমিটার ভাঙা বাঁধ নির্মাণেও আশঙ্কা করছে দ্বীপের মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭১ ফোল্ডারের ৪০ কি.মি বাঁধের মধ্যে ভাঙা ছিল ১৫ কি.মি.। বেড়িবাঁধ নির্মাণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথমে একশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
২০১৭ সালে কাজ শুরু হলেও ঠিকাদার হাত বদল হয়ে এখন তৃতীয় ঠিকাদারের কাজ চলছে। খরচ বেড়েছে অন্তত আরো ৩০ কোটি টাকা। উপজেলার উত্তর ধুরুং, কৈয়ারবিল ও আলী আকবর ডেইল, বড়ঘোপসহ অন্তত ৪ ইউনিয়নের অসহায় মানুষের টেকসই বেরিবাঁধ নির্মাণের দাবিতে শতকোটি টাকার কাজ চলমান আছে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা সংস্কারসহ নির্মাণ কাজটি চুড়ান্ত হিসেবে ঈগল রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্সট্রাকসন (বিডি) লি. নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বছরের বর্ষা আর জোয়ারে বৈরি আবহাওয়ায় ধীরগতি যেন পিছু ছাড়ছে না বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ।
বিগত ঘুর্ণিঝড় ইয়াসায় নতুন করে সংস্কার করা কাজের ভিতরে ফের ভাঙে সাড়ে ৮ কি.মি বাঁধ। এটির জন্য জরুরি বরাদ্দ দেয়া হয় ফের। তবে এ কাজের সিংহভাগ এখনো বাকি।
আলী আকবর ডেইল গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন ইকু জানান, শুষ্ক মওসুমে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না গেলে পুরো ইউনিয়নে আর কোন আবাদ করা সম্ভব হবেনা। আগামী কার্তিক মাসে রয়েছে বড় ধরণের জোয়ার। এসময়ের আগে বাছুবিদ্যুৎ এলাকার সিসি ব্লকের ভাঙা বাঁধ নির্মাণ জরুরি।
বেড়িবাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর (অব.) মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহীন বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় কাজের ধীরগতি হলেও ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাধেঁর কাজও তারা তাবালের চর থেকে শুরু করেছেন। যদিও এগুলোর এখনো ওয়ার্ক অর্ডার হয়নি। আগামী এক মাসের মধ্যেই বাকি কাজ তারা শেষ করতে পারবেন বলে আশা করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন