শাড়ি নাকি স্মার্ট পোশাক নয়। সেই অজুহাতে এক মহিলাকে অভিজাত রেস্তোয়াঁয় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তিনি টুইটারে ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ-কে ট্যাগ করে তাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে মারেন ‘স্মার্ট পোশাকের সংজ্ঞা কী?’
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে এবং অভিযোগকারী অনীতা চৌধুরী পেশায় বøগার। তিনি টুইটারে যে ভিডিও শেয়ার করেছেন, তাতে স্পষ্ট ওই অভিজাত রেস্তোরাঁয় প্রবেশের মুহূর্তে অনীতা চৌধুরীকে বাধা দেন এক কর্মী।
রেস্তোরাঁর কর্মী স্পষ্ট জানান, যেহেতু শাড়ি পড়ে এসেছেন তাই তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। কারণ জিজ্ঞেস করলে ওই কর্মী জানান, শাড়ি স্মার্ট পোশাক নয়। গোটা ঘটনায় একটা সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয় এবং অনীতা নিজেই ঘটনাটি রেকর্ড করেন।
পরে তিনি সেই ঘটনারই ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় শাড়ি নাকি স্মার্ট পোশাক নয়। তাই শাড়ি পরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে দিল্লির এই রেস্তোরাঁ। স্মার্ট পোশাকের সংজ্ঞা কী দয়া করে আমাকে জানাবেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, হরদীপ সিং পুরি, দিল্লি পুলিশ এবং জাতীয় মহিলা কমিশন। আমাকে স্মার্ট পোশাকের সংজ্ঞা বলে দিন, তাহলে আমি শাড়ি পরা ছেড়ে দেবো।’
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। নিন্দার ঝড় ওঠে নেটিজেনদের মধ্যে। বিতর্ক বুঝে ঘটনাটি অস্বীকার করে দিল্লির ওই অভিজাত রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ গেট ম্যানেজারের। কর্তৃপক্ষের এর সঙ্গে কোনও যোগ নেই।
তবে অনীতা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারতীয় মহিলাদের সবচেয়ে সম্মানজনক পোশাক শাড়ি। যে ভারতে তারা ব্যবসা করছে সেই ভারতীয় পোশাকে তাদের আপত্তি কেন? এর উত্তর দিক।’
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের অভিজাত মোক্যাম্বো রেস্তোরাঁয় পোশাক ‘মানানসই’ না হওয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এক গাড়ি চালককে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন