যুক্তরাজ্যে একই দিনে দুই সিলেটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এখুনের ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিরাজ করছে আতঙ্ক। নিহত দুজন হলেন- সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামের মৃত সাদই মিয়ার পূত্র সেলিম মিয়া এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দাওরাই গ্রামের আব্দুল রউফের কন্যা সাবিনা নেছার (২৮)। সেলিম স্কটল্যান্ডের বাংলাদেশি মালিকাধীন একটি রেস্টুরেন্টের শেফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, লন্ডন সিটিতে শিক্ষকতা করতেন সাবিনা।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর (গত শুক্রবার) স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এক সহকর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে খুন হন সেলিম মিয়া। ২০ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে ছিলেন তিনি। আইনী লড়াই শেষে মাত্র কয়েকদিন আগে পেয়েছিলেন দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ। সেলিম স্কটল্যান্ডের ইনভারকেটিং হাই স্ট্রিটের বাংলাদেশি মালিকানাধীন ‘গুলসান তান্দুরি রেস্টুরেন্টে’ শেফের কাজ করতেন। ওই রেস্টুরেন্টের মালিক সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকার। রেস্টুরেন্ট সূত্র জানিয়েছে, রেস্টুরেন্টে স্টাফ সংকট হলে সেলিম প্রায়ই সংগ্রহ করে আনতেন স্টাফ। এরকই এক স্টাফকে কাজে এনেছিলেন সেলিম। কিন্তু সেই স্টাফের হাতেই খুন হলেন সেলিম। সেলিম ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর তাকে এডিনবারার রয়েল ইনফারমারিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘাতক সহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। এদিকে, গত শুক্রবার রাতে বাসার বাইরে ছিলেন সাবিনা নেছার। এরপর শনিবার বিকালে সাউথ ইস্ট লন্ডনের কিডব্রুক এলাকার ক্যাটর পার্কে একটি কমিউনিটি সেন্টারের পাশে পাওয়া যায় তার লাশ। তবে স্বজনরা তার লাশ শনাক্ত করেন গত সোমবার। সাবিনা লুইশাম রাশিগ্রিন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। সাবিনার পরিবার বেডফোর্ডশায়ারের স্যান্ডি এলাকায় বসবাস করেন। গ্রিন উইচের একটি ফ্ল্যাটে সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন সাবিনা। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সাবিনার হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। ঘাতক সন্দেহে ৪১ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে করা হয়েছে আটক। সাবিনার বাবা আব্দুল রউফ জানিয়েছেন, তার মেয়েকে কেন, কারা হত্যা করলো, তা বুঝতে পারছেন না তিনি। তার চার মেয়ের মধ্যে লুটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সাবিনা। এরপর লুইশাম রাশিগ্রিন প্রাইমারি স্কুলে শুরু করেন শিক্ষকতা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন