শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত ক্যাম্পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

লালমাই পাহাড়ে পাদদেশ অবস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিচ্ছন্ন ও মনোরম ক্যাম্পাস সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। স্নিগ্ধ সবুজের সমারোহ আর অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ ক্যাম্পাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা শিক্ষার্থীরাও যেন নিজেকে ভাসিয়ে দেন এক অজানা সুখের ভেলায়। তাইতো বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। দীর্ঘ ৫৫ দিন বন্ধ থাকায় ঝিমিয়ে পড়া ক্যাম্পাসও যেন এক নিমিশেই ফিরে পেয়েছে ভরা যৌবন। স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় আড্ডা স্থানগুলো খুঁজে পেয়েছে প্রাণের স্পন্দন। গত আগস্টের প্রথম প্রহরে অনাকাক্সিক্ষত এক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় এর ফলে ঈদুল আজহা বন্ধসহ দীর্ঘ প্রায় ৫৫ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের মনে। তবে এখন প্রাণোচ্ছল ক্যাম্পাসে আড্ডায় আর গানে বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীরা। এ দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেয়া হয়। পরের দিন রবিবার থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে ক্লাস শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীরা চলে আসায় ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে প্রাণোচ্ছল পরিবেশ। অনেকদিন পর একে অপরের সাথে দেখা হওয়ায় শিক্ষার্থীরাও বেজায় খুশি। শিক্ষার্থীদের পদভারে এখন মুখরিত ক্যাম্পাসের সর্বত্র। চারদিকে বিরাজ করছে আনন্দ-উচ্ছ্বাসময় এক কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ। অনেকদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় নানাদিক থেকেই সমস্যার মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল সবুজ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে না থাকলেই প্রিয় ক্যাম্পাসকে খুব বেশি মিস করি। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার কথা কি ভুলে থাকা যায়! বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকা নাহার শিরিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হল জীবনের আনন্দময় আর মজার অভিজ্ঞতা কখনো ভোলার নয়। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলে বাসায় যেন সময় আর কাটে না।’ অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদাউস মত একটু ভিন্ন। তার মতে, ক্যাম্পাস বন্ধ মানে বাসায় গিয়ে আনলিমিটেড ঘুম আর খাওয়া-দাওয়া। তবে ক্যাম্পাসকে সে মিস করে ঠিকই।
গণিত বিভাগের মিথিলা সরকার বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবার মুখরিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসের প্রাণ। শিক্ষার্থী ছাড়া ক্যাম্পাস শূন্য শূন্য মনে হয়। আমাদের ক্যাম্পাস অনাকাক্সিক্ষতভাবে বন্ধ হওয়ায় শরতের কাশফুেেলর আমেজ অনেকটাই মিস করেছি। তবে বন্ধের মধ্যে এক বার এসে দেখে গিছি শরতের কাশফুল।’
এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল অনুষদে নিয়মিতভাবে ক্লাস শুরু হয়েছে এবং ক্যাম্পাসের সর্বত্র শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। ক্যাম্পাস হলো মুক্তভাবে ঘোরাঘুরি করার উপযুক্ত স্থান। ক্লাস কিংবা হলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেই যেন সময় পার হয়ে যায়। অনেকদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় পড়ালেখার কিছুটা বিঘœ হয়েছে। তাই ক্যাম্পাস খোলার পর পড়ালেখার চাপ বেড়ে গেছে। কারও কারও শুরু হয়েছে মিডটার্ম আবার কারও বা সেমিস্টার ফাইনাল। আর এরমধ্যে ব্যস্ততায় কাটছে সারাদিন। কিন্তু এই চাপ ও ব্যস্ততার মধ্যেও এক ধরনের প্রশান্তি এবং সুখ রয়েছে। তাইতো ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে চলে গান আর আড্ডা এক সাথে। শিক্ষার্থীদের আড্ডা আর পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে প্রিয় ক্যাম্পাস।
ষ এস এম জুবায়ের

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন