বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

অনুপ্রেরণা ও আনন্দের বার্তায় ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট ডে

প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ এখন ওষুধ শিল্পে স্বয়ং-সম্পন্ন। দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে সবার আগে যে ক’টি শিল্পের নাম আসে তার মধ্যে অন্যতম হলো ওষুধ শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ওষুধ শিল্পের অবদান উল্লেখযোগ্য। দেশে বর্তমানে ৩০০-এর বেশি ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা দেশের চাহিদা পূরণ করে আন্তর্জাতিক বাজারেও ওষুধ রপ্তানি করে বৈদেশিক বাণিজ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর ক্রমবর্ধমান এ শিল্পের মূল চালিকা কিন্তু ফার্মাসিস্টদের হাতে।
বিশ্বের প্রতিটি দেশেই পোস্ট প্রোডাকশন থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট ফর্মূলেশন, উৎপাদন, ওষুধের মান উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিতকরণ, স্থিতিশীলতা, গবেষণা পর্যন্ত গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের কঠোর মাননিয়ন্ত্রণের পরেই প্রতিটি ওষুধ রোগ নিরাময়ের জন্য পৌঁছায় মানুষের হাতে। ফার্মাসিস্টদের এই কঠোর পরিশ্রম মানব সেবারই অংশ মাত্র। যার স্বীকৃতি স্বরূপ ২৫ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বে পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট ডে’।
“ফার্মাসিস্ট : কেয়ারিং ফর ইউ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয় ‘বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০১৬’। মাথায় প্রতিপাদ্য বিষয় লেখনী যুক্ত হেয়ার ব্যান্ড, হাতে ফেস্টুন-প্যাকার্ড ও মন ভরা প্রফুল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের প্রবীণ-নবীন শিক্ষার্থীরা যোগ দেন এক আনন্দ র‌্যালিতে। সৃষ্টি হয় এক অনন্য মিলন মেলার।
ফার্মেসি বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে র‌্যালিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মূর্ত্তজা আলী, ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. গোলাম মোহাম্মদসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরা। বিভাগের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশ নেয়া এই র‌্যালিটি দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের মিডিয়া চত্বর থেকে বের হয়ে একাডেমিক ভবন, বকুল তলা, ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ড, প্রশাসনিক ভবন হয়ে একাডেমিক ভবনের পেছন ঘুরে ওয়াই-ফাই জোনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে উঠে আসে নানা তথ্য। শিক্ষার্থীরা তুলে ধরে তাদের মতামত ও অংশ নেন মুক্ত আলোচনায়।
গণবি’র ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. গোলাম মোহাম্মদ এর মতে, ফার্মাসিস্টরা দেশের ভবিষ্যৎ। তবে বর্তমানে ফার্মাসিস্টদের কিছু না-পাওয়া আছে, কিছু দাবি আছে। দাবিগুলো পূরণ করা হলে দেশের উন্নয়নে ফার্মাসিস্টরা আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা শারমিন সাথী জানান, আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশনের উদ্যোগে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ইস্তাম্বুল সম্মেলনে ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফার্মেসি পেশার কর্মরতদের উৎসাহ প্রদান এবং এই পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ২০১০ সাল থেকে সারাবিশ্বে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।
অসুস্থ মানুষ শরণাপন্ন হয় চিকিৎসকের, রোগীর সমস্যা জেনে রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ লিখেন চিকিৎসক। আর গুণগত মান ঠিক রেখে কঠোর পরিশ্রম ও মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেই ওধু তৈরি করছেন একজন একজন দক্ষ ফার্মাসিস্ট। তাই প্রতিটি ফার্মাসিস্টের কাছে ‘ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট ডে’ আসে কাজের অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দিতে, আসে আনন্দের বার্তা হয়ে।
ষ তাজবিদুল ইসলাম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন