ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় টর্চ লাইটের আলো চোখে পড়ার প্রতিবাদ করায় হাফেজ ফরিদুল আলম (৫৫) নামে এক মসজিদের ইমামের উপর নির্মম হামলা ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আজ সোমবার এক বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হলেন মসজিদের ইমাম। একজন সম্মানিত আলেমকে সামান্য একটি ঘটনায় এভাবে মারধর এবং বসতঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দেয়ার ঘটনা কোনভাবেই বরদাশত করা যায় না। তিনি বলেন, ঘটনার ২/৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে না পারা প্রশাসনের আন্তরিকতা নিয়ে জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা মহানগর উত্তর: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, জাতির সত্যিকারের রাহবার উলামায়ে কেরামদের প্রতি জুলুম ও নির্যাতনের পথ পরিহার করতে হবে। উলামায়ে কেরারদের প্রতি অন্যায় ও অবিচার করা হচ্ছে। উলামা বিদ্বেষীগোষ্ঠী উলামায়ে কেরামদের সমাজের আলাদা অংশ হিসেবে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে দ্বীনি শিক্ষার বিপক্ষে দাড়িয়েছে।
সম্প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের কাফরুল থানা শাখার সভাপতি হাজী নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে আয়োজিত দাওয়াতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে মহানগর ও থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে উলামায়ে কেরামদের অবদান অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই। অথচ আজ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী নাস্তিক, মুরতাদ, অর্থ পাচারকারী, খুনি, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ীরা আইন ও প্রশাসনের নানান সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন