শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

কুমিল্লার ঘটনায় নির্বিচারে গ্রেফতার রাষ্ট্রীয় সাম্প্রদায়িকতা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২১, ৬:১২ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনার ধর্ম সুবিধাভোগী বা অণু ঘটক কোনটাই নয়। এখানে স্বার্থান্বেষী মহলকে ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিল করেছে। কিন্তু এর খেসারত দিতে হচ্ছে ইসলাম ও সাধারণ মুসলমানদের। সারাদেশে গণহারে মামলা দিয়ে সাধারণ মুসলমানদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এলাকার পর এলাকা পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে। চাঁদপুরে গুলি করে মুসলিম হত্যা করা হয়েছে। এখন গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অবস্থায় দৃশ্যে মনে হচ্ছে, মুসলমানরা এখন রাষ্ট্রীয় সাম্প্রদায়িকতার শিকার। এ অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জোর দাবি জানাচ্ছে যে, অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনুন। নিরপরাধ জনতাকে মামলা থেকে মুক্তি দিন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিভাগের আয়োজনে ঢাকা মহানগর সংখ্যালঘু সম্পাদকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাসচিব এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক আল্লামা মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ্ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, শেখ ফজলুল করীম মারূফ, আলহাজ ইসমাঈল হোসেন, আলহাজ ফরিদ উদ্দিন দেওয়াসহ থানা নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, করোনার প্রভাব ও নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার তখন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বাড়ানোর গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের রক্তচোষা নীতির কারণে জনগণ আজ দিশেহারা। তিনি বলেন, তেলের পাচার ঠেকাতে দাম বাড়ানোর যে যুক্তি সরকার দিচ্ছে তা হাস্যকর। গত সাত বছরে বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ৪৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এই টাকা সরকার অন্য খাতে ব্যয় করেছে। অথচ মুনাফার লোভ না করে সরকার ভর্তুকি দিলে এই অবস্থা এড়ানো যেতো।

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম আরো বলেন, ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ আর পরিবহন ভাড়া বেড়েছে ২৭ শতাংশ। সরকার পরিবহন মালিকদের স্বার্থের পাহারাদারের ভূমিকা পালন করছে। বিবৃতিতে তিনি অনতিবিলম্বে ডিজেল ও তেলের বর্ধিত মূল্য এবং পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন