ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, চলমান ইউপি নির্বাচনে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা নজীরবিহীন হয়রানি করছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা সরকারদলীয় দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে কোন রকম ভূমিকা পালন না করে বরং তাদের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বিজয়ী হতে সহযোগিতা করছে। সরকার দলীয় দস্যুতা বন্ধ না হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সবধরণের নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নির্বাচন মনিটরিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মেয়র প্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, শেখ ফজলুল করীম মারূফ, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা মকবুল হোসাইন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের এডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ এবং ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সভায় ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন-এর প্রার্থী মো. ওমর ফারুকের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী সশস্ত্র হামলা করে তাকে প্রাণনাশের চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। সভায় আজকে ঘোড়াশাল, পাকুন্দিয়াসহ ১০টি পৌর নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীদের চিরাচরিত গুন্ডামী ভোট ডাকাতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
আজকে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে কুমিল্লার হোমনা থানার নিলখি ইউনিয়নে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ময়নাল হোসেনকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র নিয়ে ছিড়ে ফেলে এবং প্রার্থীকে মাঠে নামিয়ে বেধরক মারধর করে হোমনা থানা যুবলীগ সভাপতি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর হাতপাতপাখার প্রার্থীদের মনোনয়ণপত্র জমা প্রদানে বাধাদান ও হুমকি-ধমকি ও হয়রানির করা হয়। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের এসব দস্যুতা বন্ধ না হলে আগামীতে দেশে সঙ্কট আরো বাড়বে। যে সঙ্কট থেকে অনিবার্য গণবিস্ফোরণ তৈরী হবে বলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব সরকারকে সতর্ক করে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন