শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মহাজনী সুদের কারবার অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ

অসঙ্গতি তুলে ধরাই সাংবাদিকের কাজ : হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সমবায় সমিতির নামে সুদের ব্যবসা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক। আদেশের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সারাদেশের অনিবন্ধিত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সমবায় সমিতি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তদন্তকালীন সময়ে কোনো অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক সেগুলো বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া চড়া সুদে ঋণদানকারী স্থানীয় মহাজনদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেন আদালত। ৪৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে। রিটে অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের আইজি, ৬৪ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১৩৬ জনকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে উচ্চ হারে সুদ ব্যবসা বন্ধের আদেশ দানকালে আদালত সংবাদকর্মীদের প্রশংসা করেন। হাইকোর্ট বলেন, সমাজের কী কী অসঙ্গতি হয় সেটা তুলে ধরাই সাংবাদিকদের কাজ। তারা একটি ইস্যু তুলে ধরে বলেই আমরা জানতে পারি। সমাজের কোনায় কোনায় কত ধরণের ন্যায়-অন্যায় হচ্ছে। পত্রিকায় সেটা তুলে ধরা হয় বলেই আমরা জানতে পারি।
রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমনের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, ভবিষ্যতে যখন কোনো ইস্যু নিয়ে আসবেন, তা চিন্তা করে গবেষণা করে নিয়ে আসবেন। আপনারা যে বিষয়গুলো নিয়ে আসেন তা নিয়ে গভীর চিন্তা করতে হবে। পত্রিকা কী লিখল তা হুট করে নিয়ে আসবেন না। অবশ্যই এটি একটি ইস্যু। এটি একটি পাবলিক ইস্যু।
বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান বলেন, পত্রিকায় একটি তথ্য দিয়েছে। পত্রিকা একটি আলো দেখিয়েছে, একটি পথ দেখিয়েছে। সমাজে কী কী অসঙ্গতি হয় সেটা তুলে ধরাই হলো সাংবাদিকদের কাজ। প্রথম আলো বা ডেইলি স্টার একটি লাইন লিখে দিলে সেটা ধরেই অবৈধ ঘোষণা করতে হবে? এভাবে হয় না। এ ধরণের ইস্যুতে কম করে হলেও তিন-চার মাস কাজ করা উচিত। গবেষণা করে প্রোপারলি আবেদনটি করবেন। হুট করে নয়, দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আবেদন করবেন। যেন আমরা আদেশ দিতে পারি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Harun Ur Rashid ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:১০ এএম says : 0
Bank Sara ar kono protistan money deposit Korte parbena.
Total Reply(0)
Md. Moktar Hossain ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:৪৩ এএম says : 0
In villages some rich people lend loan to poor people at a very high rate of interest, for example 7000 to 10000 taka interest for taka 100000 for a month,This kind of torture should be stopped very soon.I earnestly attracting the attention of concern authority.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন