শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যে নতুন কমিশন হওয়া উচিত’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত। আমি এটাকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়, সেরকম একটি কমিশন হওয়া উচিত। গতকাল কমিশন সভা শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ঐক্যমত্য কীভাবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা তো রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। গতবার তিনি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এটা তো রাষ্ট্রপতির বিষয়। সেটা বলতে পারবো না। এটা ওই স্টেজে হতে পারে। আমাদের করণীয় কিছু নেই। ঐকমত্যের বিষয়ে আমাদের কোনো ভ‚মিকা থাকে না।
নতুন কমিশন গঠনে ইসির কোনো মতামত আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন কমিশন কী হবে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত থাকে না। কমিশনের কাছে সাধারণত মতামত চাওয়া হয় না। যদি চাওয়া হয় তাহলে আমরা কমিশন বসে দেখবো, আমাদের কোনো মতামত আছে কি না।
কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন তো তৈরি করে সংসদ। আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের আইনগুলো হয়। তাদের কাছ থেকে এ রকম কোনো ইঙ্গিত আসেনি যে, আইন তৈরি করতে হবে কি না। তারা বলেন, সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা আছে সে অনুযায়ী করার কথা। এটা আমরা টেলিভিশন, পত্রপত্রিকায় দেখি। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। আইন করার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
আইন হলেই আস্থার সংকট দূর হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কী ধরনের আইন হবে তার ওপর নির্ভর করবে। এ বিষয়ে আগে বলা যাবে না। তিনি বলেন, সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে ‘আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও গত ৫০ বছরে কোনো সরকারই এমন একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইসি মোটেই অনাস্থার জায়গা নয়। জনগণের আস্থা নেই একথা বলা যাবে না, জনগণ তো বলেনি আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলের লোকেরা যেটা বলেন, অনেক সময় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করে তারা বলেন জনগণের আস্থা নেই। যদি আস্থা না থাকে, যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে উপচেপড়া ভোটার থাকে কীভাবে? লাইন থাকে, ৬০-৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। এটা আস্থার জায়গা।
রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সিইসি বলেন, এই মুহূর্তে রাশিয়ার মতো ভালো ভোট অনুষ্ঠান বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
সিইসি কে এম ন‚রুল হুদা গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ১৭ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানকার ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। ২১ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরেন। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাশিয়ার ভোট নিয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরার সময়ে রাশিয়ায় ব্যালটে ভোট হলেও ভোটিং ব্যবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে উন্নত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার নির্বাচন ব্যবস্থা ভালো। আমাদের থেকে তাদের পার্থক্য হলো সেখানে আমাদের মতো রাস্তাঘাটে ব্যানার, ফেস্টুন বা দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার নেই। নির্বাচনকেন্দ্রের বাইরে আমাদের এখানে প্রার্থী বা তার সমর্থকরা প্রচারণা চালান, রাশিয়ায় সেই সুযোগ নেই। সেটা করা হয় না। সেদেশে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা মূলত অনলাইন-ভিত্তিক বেশি হয়। ডিজিটাল সিস্টেম অত্যন্ত উঁচুমানের। আমাদের দেশে কর্মীরা যেমন ঘরে ঘরে ভোটারদের কাছে যান, অথবা লিফলেট দেন, এই জাতীয় কালচার সেখানে দেখিনি।
সিইসি বলেন, রাশিয়ায় ইভিএম নেই। তবে অন্যরকম ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা তাদের আছে। তারা হয়তো ইভিএম শুরু করবে। এ সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব, এনআইডি উইংয়ের ডিজি ও ইসির অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৩২ এএম says : 0
ভাই একটি কথা বুজতে চাই বুঝাইতে চাই আপনারা রাষ্ট্র পতি বলেন তিনি সিদ্ধান্ত নিবে,কিন্তু উনি একটি দলের লোক এবং একটি দলের রাষ্ট্র পতি,উনি কি করে নিরপক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন,আমার মনে হয় আপনাদের মাথা খারাপ।
Total Reply(1)
Billal ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৩৯ পিএম says : 0
Vai Apnar Khata Ak Dom Thik

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন