গত ২ অক্টোবর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এর বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আরটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২০’। অনুষ্ঠানে মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেয়া হয়। বাংলা সঙ্গীতে স্মরণীয় অবদান রাখার জন্য গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে দেয়া হয় আজীবন সম্মাননা। অনুষ্ঠানে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়েদেন আরটিভি’র চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোরশেদ আলম এমপি, সম্মাননা তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েন আহমেদ পলক এমপি। আরটিভির বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিচারকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার তুলে দেয়া হয় নির্বাচিতদের হাতে। পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেন, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী (নারী): মৌটুসী, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী (পুরুষ): সাব্বির জামান, শ্রেষ্ঠ লোকসঙ্গীত শিল্পী (নারী): সালমা, শ্রেষ্ঠ লোকসঙ্গীত শিল্পী (পুরুষ): শফি মন্ডল, শ্রেষ্ঠ গীতিকার: শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, বেস্ট মিউজিশিয়ান: সুনীল চন্দ্র দাস, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক: শওকত আলী ইমন, বেস্ট প্রমিজিং সিঙ্গার: প্রতীক হাসান, বেস্ট ব্যান্ড: ধ্রুবতারা, বেস্ট ইউটিউব ভিডিও: গান- ‘সখি গো আমার মন ভালো না’, সঙ্গীত পরিচালক: কণ্ঠশিল্পী: লায়লা, জে কে মজলিস, নির্মাতা: নূর হোসেন হীরা। আরটিভি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, আরটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড এর আগে স্টার অ্যাওয়ার্ডের সাথেই দেয়া হতো। সেই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হতো শুধুমাত্র ৫টি ক্যাটাগরিতে। কিন্তু একটা সংগীত সৃষ্টির পেছনে আরও অনেকের অবদান থাকে। যেমন: গীতিকার, সুরকার, মিউজিশিয়ান, ভিডিও নির্মাতা ইত্যাদি ব্যক্তিদের। আমরা যদি নেপথ্যের এই ব্যক্তিদের অবদানকে মূল্যায়ণ না করি, তবে তাঁদের প্রতি অবিচার করা হবে। সেই বিবেচনায় আরটিভি এবছর থেকে ব্যাপক পরিসরে প্রথমবারের মতো শুরু করলো আরটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড। আরটিভি’র চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোরশেদ আলম এমপি বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে একটি জাতির পরিচয় ফুটে ওঠে। এদেশের শিল্পী সমাজ তাঁদের মেধা ও মনন দিয়ে সেই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। তাঁদের সৃষ্টিশীলতায় সমৃদ্ধ হয় এদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন। আমরা মনে করি, তাঁরা আরটিভি’র সহযাত্রী। আরটিভি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এদেশের সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে এবং প্রতিভা অন্বেষণে নিরলস কাজ করে চলেছে। আমরা মনে করি, যারা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিবেদিত, তাদেরকে দর্শক-শ্রোতাদের সামনে বিশেষভাবে তুলে ধরা গণমাধ্যমের একটি দায়িত্ব। আমরা ‘মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’-এর মাধ্যমে সেই দায়িত্বটুকুই পালন করছি। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সংস্কৃতিমনা মানুষরাই সম্মুখ সারিতে থেকে প্রেরণা জুগিয়েছে। স্বাধীনতার যুদ্ধে সংস্কৃতিমনা কোন মানুষ বিরোধী শক্তিকে সহযোগিতা করেছে এমন দৃষ্টান্ত খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়না। সুতরাং আমাদের জাতীয় অগ্রগতির জন্য সংস্কৃতির চর্চাকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই। আরটিভি যে কাজটি করছে তাই আরটিভিকে আমি সাধুবাদ জানাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা কবিতা, গান, সাহিত্যে অনেক অগ্রসর। একটি জাতীর সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সে জাতীকে আরো সমৃদ্ধ করা যায়। আরটিভি সবসময় গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান করে তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার দিকে অগ্রসর করে দিচ্ছে সেজন্য আমি আরটিভিকে অভিনন্দন জানাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন