শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মোংলা বন্দরে নাব্য সঙ্কট

দুটি বিদেশি জাহাজ ঢুকতে পারছে না

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

পানামা পতাকাবাহী এমভি সি এস ফিউচার এবং টুভ্যালু পতাকাবাহী ‘এমভি পাইনিয়র’ পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের আউটার বারে (বহিঃনোঙ্গর) চারদিন ধরে আটকে আছে। নাব্য সঙ্কটের কারণে বিদেশি এ জাহাজ দুটি বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না। জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট পার্ক শিপিংয়ের সত্ত¡াধিকারী হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী এবং এফ এম এস মেরিটাইমের খুলনাস্থ ব্যবস্থাপক মো. বিপ্লব এ তথ্য জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, আউটার বারে সাড়ে ৯ মিটার জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হলেও তাদের জাহাজ দুটি সাড়ে ৯ মিটারেরও কম। শত শত কোটি টাকা খরচ করে ড্রেজিং করে লাভ হলো কি? আমাদের এখন মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি দিয়ে লাইটার পাঠিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে সেখানে।

এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, আপনাদের জানা উচিত ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়। এরপর বর্ষা মৌসুমে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন গতকাল আউটার বারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার পাঠানো হয়েছে। জাহাজ ঢুকতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা মেজর সমস্যা না, ওখানে লাইটার দিয়ে কিছু পণ্য খালাস করে বন্দরে জাহাজ দুটি আনা হবে।’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ২৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে ৯ দশমিক ৩ মিটারের পানামা পতাকাবাহী এমভি সি এস ফিউচার জাহাজ হিরন পয়েন্টের পাইলট স্টেশনে নোঙ্গর করে। এরপর ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্রিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে নয় দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার টুভ্যালু পতাকাবাহী আরেক বিদেশি জাহাজ এম ভি পাইনিয়র ড্রিম। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার ড্রেজিংয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শওকত আলী বলেন, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দর গত বছরে ডিসেম্বর আউটারবারে ড্রেজিং শেষ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে হোপার ড্রেজার দিয়ে সেটি পুনরায় খনন কাজের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন