শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

স্ত্রীর ডিভোর্স নোটিশ পাঠানোর ইস্যুতে সামাজিক মাধ্যমে আবারও সমালোচিত নোবেল

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২১, ৩:৫৩ পিএম

বিতর্কিত গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে মানসিকভাবে অসুস্থ, চরম মাদক ও নারী আসক্ত দাবি করে ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়েছেন স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। গত ১১ সেপ্টেম্বর নোটিশ পাঠিয়ে বুধবার (৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালসাবিল নিজেই।

এদিকে ডিভোর্স নোটিশ পেয়ে খুশি নোবেল। স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক যন্ত্রণা দেয়ারও অভিযোগ করেছেন তিনি। নোবেলের দাবি, তার ক্যারিয়ারের ধ্বংস করতে একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেছে তার স্ত্রী। এমনকি সে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো বলেও অভিযোগ করেন এই গায়ক।

স্ত্রীর ডিভোর্স নোটিশ পাঠানো, তার বিভিন্ন অভিযোগ ও এই ইস্যুতে নোবেলের বেশ কিছু বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

নোবেলকে উদ্দেশ্য করে ফেইসবুকে এস এম বদিউজ্জামান স্বপন লিখেছেন, ‘তুমি মিয়া মানুষের কাতারে পরো? তোমার গান ভাল লাগতো, খুব প্রিয় একজন ব্যক্তি ছিলা আমার কাছে। বাট তোমার সাইকো কোয়ালিটির জন্য মন থেকে উঠে গেছো। ভালো হয়ে যাও নোবেল, সময় থাকতে নিজেকে সুধরাও, আম ছালা তো গ্যাছে গ্যা......’

তিরস্কার করে নাফিজ খায়ের সবুজ লিখেছেন, ‘নোবেলম্যান ভাই, আমাদের গান গেয়ে বিনোদন না দিতে পারলেও, তার কাজ কর্মে সবাই যথেষ্ট বিনোদন পাচ্ছেন। আশা করি এরকম বিনোদন অব্যাহত থাকবে।’

মুহাতাসিম ফুয়াদ হৃদয় লিখেছেন, ‘আপনার নিজের প্রতি লজ্জা থাকা দরকার, এইতো এক বছর আগেও বাংলার মানুষের কত সম্মান পাইলেন, সবাই-ই মাথায় তুলে রাখতো। নিজের অহংবোধে আজ এত নিচে নামলেন, আরো নামতেছেন। কি হতে পারতেন আজ? আর কি হলেন আজ? সেটা কয়েক বছর পরে ভাবলে নিজেই দুঃখ পাবেন। এককালে ফ্যান ছিলাম, গান হলেই শোনার জন্য এক সেকেন্ডও দেরি করতাম না। আর আজ আপনাকে দেখলেই ঘৃণা লাগে। বাংলাদেশের সম্মান আপনার জন্যই ততটাই তলানিতে গেছে, যেটা আপনি অর্জন করেছিলেন। আপনার এই দম্ভ আপনাকে আজ শেষ করে দিয়েছে। এখনও সময় আছে, মেন্টালি সুস্থ হোন।’

স্ত্রীর বিরুদ্ধে নোবেলের করা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রসঙ্গে আলিনা রহমান লিখেছেন, ‘যে হারে গাজা সেবন করেন আপনি, এতে আপনি এমনিতেই মরার পথ তৈরি করতেছেন। তাতে আর নতুন করে কাউকে আপনাকে মারার প্লান করতে হবে না।’

জান্নাতুল ফেরদাউস রুহি লিখেছেন, ‘দুইদিন পরপর এমন পাগলামি করলে যেকোনো মানুষই বিরক্ত হয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক.. মেয়েটা এতদিন যে আপনার মতো পাগলকে সহ্য করেছে, এটাই অনেক! মানসিক অশান্তি থেকে রেহাই তো পেলো!’

নোবেলের তীব্র সমালোচনা করে হাবিবা সরকার হিলা লিখেছেন, ‘মেয়েটা একটা .........র হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আমি কখনও কোনো সেলিব্রিটির ডির্ভোসে খুশি হই নাই। কিন্তু সালসাবিনের ক্ষেত্রে মনে হত, মেয়েটা এমন একজন মানসিক রোগীর সংসার কেমনে করে, যে স্ত্রীর প্রেগন্যান্সি নিয়েও মিথ্যা বলে।’

সালসাবিল ও নোবেলের বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে ফারজানা ইসলাম লিখেছেন, ‘তাহসান ভাইকে দেখে কিছু শিখেন। তাদের বিচ্ছেদ পরে কতো কিছু হলো, তারপরও তার প্রাক্তন সম্পর্কে কখনও কটূক্তি করে নাই। বিচ্ছেদের পরেও একজন আরেক জনের প্রতি সম্মান রেখে কথা বলাটাই হয়ত প্রকৃত ভদ্রতা।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন