শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঘাটাইলে মাদরাসা ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ২

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৪৬ পিএম

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক মাদরাসা ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রামবাসী ২ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার মুরাইদ গ্রামে । এ ব্যাপরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষণের অভিযোগ আটক হওয়া দু’জন হলেন, ঘাটাইল উপজেলার মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে মোঃ মোস্তফা (২৫) ও মফিজ উদ্দিন মোড়লের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (৩৫)। তারা দুজনেই বিবাহিত।
মামলার অভিযোগ ও এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটি ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের সাপমাড়া গ্রামের রফিজ উদ্দিন ফকিরের মেয়ে রহিমা আক্তার (১৫)। সে স্থানীয় মুরাইদ সিরাজনগর দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেনির ছাত্রী। তার বাবা দুই বিয়ে করেছেন। সংসারের অভাবের কারণে ছাত্রীটি চাকরির চেষ্টা করছিল। চাকরির খোঁজে ওই ছাত্রী গত ৫ অক্টোবর গাজীপুরে তার এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। গাজীপুর থাকা অবস্থায় তার পূর্ব পরিচিত মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে মোস্তফা ওই ছাত্রীকে চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেয়। গত ৬ অক্টোবর দুপুরে চাকুরির ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য মোস্তাফা তাকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন। মেয়েটি তার কথা মত চন্দ্রা গেলে রাত আটটার দিকে সেখান থেকে তাকে মোস্তফা নিজ গ্রাম মুরাইদে নিয়ে আসেন এবং মোফাজ্জল হোসেন (৩৫) নামে এক লোকের বাড়িতে নিয়ে যান। মোস্তফা তাকে জানায় যে, মোফাজ্জলের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাকে চাকরি দেয়া হবে। এই কারণে মেয়েটি মোফাজ্জলের বাড়িতে যেতে এবং রাতে থাকতে রাজী হন। সে মতে ওই বাড়ির একটি টিনের ঘরে ছাত্রীটির থাকার ব্যবস্থা করা হয়। পরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গভীর রাতে দুই বন্ধু মোস্তফা ও মোফাজ্জল মিলে জোড়পূর্বক ছাত্রীটিকে উপর্যপুরি কয়েকবার ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে ডাক চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাড়ির আশে পাশের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত দুই ধর্ষক মোস্তফা ও মোফাজ্জলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাতেই উপজেলার সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে এবং স্থানীয় জনতার হাতে আটক হওয়া দুই জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ছাত্রীটির বাবা রফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে ধৃত দুইজনকে আসামী করে ঘাটাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আজ ৮ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধৃত দুই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন