সুজুকি জিকসার সিঙ্গেল ডিক্সের একটি বাইক বিক্রির জন্য সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেন এক যুবক। সেই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর শাওন নামে এক যুবক বংশালের নবকুমার ইনস্টিটিউট মাঠে মোটরবাইকটি কিনতে আসেন। সেখানে বাইকটি চালিয়ে দেখার কথা বলেই চম্পট সে। এ ঘটনায় গত ৪ অক্টোবর চকবাজার থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী বাইকের মালিক।
পরে এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে চকবাজার মডেল থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. শাওন, মো. আসাদুজ্জামান শেখ ও তার ছেলে রবিন শেখ, আলমগীর হোসেন ওরফে মিল্লাত এবং একজন কিশোর।
গতকাল চকবাজার মডেল থানার ওসি মো. আবদুল কাইউম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকার বনশ্রী, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) চকবাজার থানার এসআই মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে আগাতে থাকি। এরপর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ৫ অক্টোবর রাত পৌনে একটায় বনশ্রী এলাকা থেকে শাওন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বাইকটি নিয়ে পালিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই আসাদুজ্জামান শেখ ও তার ছেলে রবিন শেখকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা চুরি করা বাইকটি ৬৩ হাজার টাকায় কিশোরগঞ্জের মিল্লাত নামে একজনের কাছে বিক্রি করেছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের কুলিয়াচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আলমগীর হোসেন ওরফে মিল্লাতকে। কিন্তু তার কাছেও বাইকটি পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মিল্লাত জানায়, বাইকটি ৮৭ হাজার টাকায় নরসিংদীর এক ছেলের কাছে বিক্রি করেছে। এরপর ৭ অক্টোবর পৌনে একটায় নরসিংদীর চিনিশপুর জামতলা থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই কিশোরকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এ সময় চুরি হওয়া বাইকটি তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন