গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা সদর রহনপুর পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের গত কয়েক মাসে ৮টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার দিনদুপুরে রহনপুর স্টেশন রোডস্থ সোনালী ব্যাংকের নিচ থেকে চাউল আড়ৎদার বজলুর রহমানের একটি বাজাজ ১৩৫ সিসি ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় রহনপুর পৌর এলাকার ডাকবাংলাপাড়ার বীমা কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের একটি ১০০সিসি বাজাজ সিটি। রহনপুর বাজারস্থ শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের নিচ থেকে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বাবুর একটি টিভিএস এ্যাপাচী, রহনপুর বাজার থেকে কাজিগ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রুস্তম আলী ও গত ১৪ মার্চ দুরুল হোদা ফিন্টুর, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাঙ্গাবাড়ী স্কুল ও কলেজের প্রভাষক কাজিরুল ইসলামের স্টেশনপাড়াস্থ ভাড়া বাসা থেকে একটি ১০০সিসি বাজাজ সিটি। ফটোকপি ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনের রহনপুর বাজারস্থ নিজ বাড়ি থেকে একটি করে মোট ৩টি বাজাজ সিটিমোটর সাইকেল ও ভোলাহাট মোহবুল্লাহ কলেজের প্রভাষক বকুলের একটি মোটরসাইকেল গোমস্তাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে চুরি হয়। মোটরসাইকেল চুরির এ ঘটনাগুলোতে ভুক্তভোগীরা থানায় জিডি করলেও পুলিশ তদন্ত করে কিনা তা নিয়ে ভুক্তভোগীদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে মোটরসাইকেল চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছে। এছাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল চুরির যে ঘটনাগুলো ঘটছে তার সাথে চোর সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা ধারণা করছে। এছাড়া চোর সিন্ডিকেটের সাথে একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে অতীতে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সাথে আপসের মাধ্যমে ফেরত পাওয়ার নজির রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের জিডিগুলো তদন্তপূর্বক তা উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং চুরি বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন