শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক সাড়ে ৪ ঘন্টা অবরোধ, বিক্ষোভ, যাত্রী ভোগান্তি চরমে

গাজীপুরে কারখানায় লে অফ ঘোষণার প্রতিবাদ

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ৪:২৯ পিএম

গাজীপুর মহানগরীর বাসন সড়ক ও ভোগড়া এলাকায় দুটি পোশাক কারখানায় লে অফ ঘোষণার প্রতিবাদে এবং বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা। অবরোধের কারণে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও কারখানা কর্র্তৃপক্ষের দাবি মেনে নেয়ার আশ^াসে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, শনিবার রাত পর্যন্ত কাজ শেষ করে সকলেই বাসায় ফিরে যান। রবিবার সকাল আটটার দিকে বাসন সড়ক এলাকায় ইন্টারলিংক অ্যাপারেল লিমিটেড কারখানার সামনে আসলে প্রধান ফটকে কারখানাটি বন্ধ ঘোষনার নোটিশ দেখতে পান। এতে কারখানা সহস্রাধিক শ্রমিক উত্তেজিত ও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয় এবং মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেন। মহাসড়ক অবরোধের কারণে উভয় পাশে অন্তত ১২ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা তিব্র গরম ও যানজটে নাকাল হন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের কিছু না জানিয়ে কর্র্তৃপক্ষ কারখানাটি লে-অফ ঘোষণা করে। রবিবার সকালে তাদের গত সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধের কথা ছিল। বেতন না দিয়ে উল্টো কারখানা বন্ধের নোটিশে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসম তারা কারখানা খোলা এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি করেন।
এদিকে ভোগড়া এলাকায় একই মালিকানাধীন অপর একটি কারখানার শ্রমিকরাও তাদের কারখানার প্রধান ফটকে কারখানা লে-অফ ঘোষণা নোটিশ দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান জানান, লে অফ ঘোষণা ও বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। পরে সঙ্কট সমাধানের আশ^াসের প্রেক্ষিতে সাড়ে ৪ ঘন্টা পর শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে এ ব্যাপারে কারখানা কর্র্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের লে অফ নোটিশে উল্লেখ করেছে করোনা মহামারীর কারণে তাদের কারখানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কারখানাটি চালানোর জন্য তাদের সামর্থ্য নেই। তাই আইন মোতাবেক কারখানা ঘোষণা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন