মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কোস্টগার্ডের ট্রলারে হামলা

বরিশালে ইলিশ রক্ষা অভিযান

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে মেহেন্দিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পর কোস্টগার্ডের ট্রলারে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। হিজলা উপজেলার দক্ষিণ বাউশিয়া গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গত সোমবার রাতে এ হামলায় কোস্টগার্র্ডের ট্যাগ কর্মকর্তা ও ট্রলারের মাঝি আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পর কোস্টগার্ডের সদস্যরা গ্রামের ভেতর ঢুকে নারী-পুরুষদের নির্বিচারে লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ করেছে গ্রামবাসীরা। লাঠিপেটায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী ফারজানা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের। এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড সদস্যরা গ্রামবাসীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ট্রলারে হামলাকারীরা নিজেদের রক্ষা করতে লাঠিপেটার মিথ্যা কথা প্রচার করছে।

হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে গত সোমবার কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদফতরের দুটি আলাদা ট্রলার নিয়ে টহলে বের হয়। দক্ষিণ বাউশিয়া গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে পৌঁছালে কোস্টগার্ড সদস্যদের বহনকারী ট্রলারে হামলা চালানো হয়। নদীর তীর থেকে আকষ্মিক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে অসাধু জেলেরা। এতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অভিযানের ট্যাগ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ও ট্রলার মাঝি মো. সোলায়মান আহত হয়। তিনি আরও বলেন, হামলার পর কোস্টগার্ডের সদস্যরা আহত দুজনের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

একটি মহল বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে কোস্টগার্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে লাঠিপেটার অভিযোগ করছেন।
হিজলা থানার ওসি মো. ইউনুস বলেন, কোস্টগার্ডের ট্রলারে হামলার খবর শুনেছি। তবে লাঠিপেটার কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। ওই গ্রামের কেউ লিখিত বা মৌখিকভাবেও অভিযোগ করেনি বলেও জানান তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ফয়েজে নূর মাদরাসার ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ২০১৮ সনের ২৩ মার্চ দুপুরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ঘটনায় নুসরাতের মা রেহানার বেগম রামগঞ্জ থানায় একটি ডায়েরি করেন। পরে ২৬ মার্চ তারিখে পুলিশ উপজেলার ব্র²পাড়ার ব্রিজের নীচ থেকে নুসরাতের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। পরে তদন্তে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ও ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর এ রায় দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন