লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক বিক্ষোভ মিছিলে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীর হামলায় ৬ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত বছর বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় চলমান তদন্ত কার্যক্রমে নেতৃত্বদানকারী বিচারকের অপসারণের দাবিতে হিজবুল্লাহ ও এর প্রধান মিত্র আমাল মুভমেন্ট এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত বছর বৈরুতের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া বিচারককে অপসারণের দাবিতে হিজবুল্লাহ ও শিয়া আমাল মুভমেন্ট সমর্থকরা বিক্ষোভ করে। গতকাল তারা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, লেবানন ফোর্সেস (এলএফ) গোষ্ঠীর খ্রিস্টান স্নাইপাররা লেবাননকে সংঘাতের দিকে টেনে নিতে জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এলএফ।
জানা গেছে, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে বৈরুত বন্দরের রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনার তদন্ত করছেন লেবাননের বিচারক তারেক বিতার।
গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই লেবাননের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন তারেক বিতার। এ ছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আমাল পার্টির শীর্ষ নেতা আলি হাসান খলিলির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন তিনি। লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নোহাদ মাচনুকের বিরুদ্ধেও তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
তারেক বিতার বৈরুত ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান বিচারক। তিনি বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত দ্বিতীয় কর্মকর্তা। এর আগে সাবেক দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ায় প্রথম তদন্ত কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়।
তারেক বিতার দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাঁকেও অপসারণে কয়েক দফা পিটিশন দাখিল করা হয়। তবে সেগুলো খারিজ হয়ে যায়। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ওই ঘটনার চলমান বিচার কার্যক্রমের সমালোচনা করে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছেন। সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন