মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ভারতজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়া এবং সেটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা ও পুলিশের সাথে হামলাকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ভারতের সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষার দাবি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নানা রকম পোস্ট এবং কমেন্ট করা হচ্ছে।

কলকাতা থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ভারতের সামাজিক মাধ্যমে শুধু যে বাংলা ভাষাভাষীরা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তা নয়। তিনি বলছেন, বেশিরভাগ মানুষের পোস্ট বা টুইট দেখে বোঝাই যাচ্ছে তারা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুক্ত এবং পরিকল্পনা মাফিক পোস্ট করছেন। সোশাল মিডিয়াতে যেসব পোস্ট ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে লেখা হচ্ছে, ‘দেখুন কীভাবে পূজা প্যান্ডেলে পাথর ছোঁড়া হচ্ছে’। অষ্টমীর দিনেই বিসর্জন হয়ে গেল বাংলাদেশের দুর্গা পূজার’, এমন মন্তব্যও করেছেন কেউ কেউ।

বিবিসি সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, কিছু পোস্টে মানুষ যেমন শুধুমাত্র কুমিল্লা বা হাজীগঞ্জের হামলার ঘটনাগুলোরই নিন্দা করছেন, তেমনই অনেক পোস্ট চোখে পড়ছে, বিশেষত হিন্দি বা ইংরেজিতে লেখা সেগুলো যেখানে সরাসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদের সমর্থকদের ওইসব পোস্ট এবং কমেন্টে লেখার ধরন আর যেসব হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো আগে থেকেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নানা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। ‘বাংলাদেশি হিন্দুস ইন ডেঞ্জার’, ‘বাংলাদেশি হিন্দুস আর হেল্পলেস’ কিংবা ‘সেভ বাংলাদেশি হিন্দু’- এ ধরনের কয়েকটা হ্যাশট্যাগ বেশি নজরে পড়ছে। হ্যাশট্যাগ আর পোস্ট ছাড়াও অনেকে কুমিল্লা আর হাজীগঞ্জের ঘটনার ছবি দিয়ে কোলাজ - পোস্টার - ফ্লায়ার এসবও বানিয়েছেন।

‘আর এক ধরনের পোস্ট দেখছি, যেগুলোতে বাংলাদেশের ওই ঘটনাকে টেনে এনে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি তৈরির চেষ্টা ব্যর্থ হবে, এমনটাও দাবি করা হচ্ছে। এগুলো হিন্দুত্ব বিরোধীদেরই পোস্ট বলে বোঝা যাচ্ছে’, জানাচ্ছেন অমিতাভ ভট্টশালী। এছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যেও একটা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিন্তু সেগুলো যথেষ্টই ম্রিয়মাণ। তারা শুধু দুঃখ প্রকাশ করেছেন এ রকম ঘটনার জন্য।

অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছে, কুমিল্লার ঘটনার পর বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশের সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোর বিষয়ে ভারতের সামাজিক মাধ্যমে কথাবার্তা হচ্ছে কমই। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেখানেও কিন্তু তিনি বলছেন যে, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নিশ্চুপ। তবে বেশ কিছু পোস্ট এবং কমেন্ট চোখে পড়েছে যেখানে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, কোনো হিন্দু ব্যক্তি যেমন তাদের পূজা মণ্ডপে কোরআন রাখতে যাবেন না, তেমনই কোনো মুসলমানও কোরআন দুর্গা পূজার প্যান্ডেলে গিয়ে রেখে আসবেন না- এ গোটা ঘটনাই চক্রান্ত করে ঘটানো হয়েছে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা বাধানোর লক্ষ্যে। এ ধরনের কিছু কথাও কয়েকটি পোস্টে দেখা যাচ্ছে।

আর একটি পোস্ট বেশ শেয়ার করা হচ্ছে। পোস্টটি যিনি করেছেন তিনি কুমিল্লার ওই পূজামণ্ডপের একেবারে পাশেই থাকেন বলে দাবি করেছেন। তার নাম দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি একজন মুসলমান। তার বক্তব্য, পরিকল্পনা করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেই পোস্টটিও অনেকেই শেয়ার করছেন ভারতে। এছাড়া নানা ধরনের গুজবও ছড়ানো হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Fardin Shadhin ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
এবার ভারত বিজেপি ফায়দা নিবে আমরা আরেকটা গ্রেট কিলিং এর সাক্ষি হবো।
Total Reply(0)
কাজী সাব ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
কাশ্মীরে নিরীহ মুসলিম কে হত্যা করতেছে
Total Reply(0)
Md Shariful Islam ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
এটা বাংলাদেশের বিষয় ইন্ডিয়া কে নাক না গলাতে বলেন
Total Reply(0)
Badal Sikdar ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১:৪২ এএম says : 0
এটা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এখানে ভারতের নাক গলানোর কোন অধিকার নেই।
Total Reply(0)
Tarikul Islam ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১:৪৩ এএম says : 0
আমার বিশ্বাস কোন হিন্দু ভাই অথবা বোন চাইবে না এই পূজার সময় তাদের মণ্ডপে একটা গ্যাঞ্জাম হোক , একটা ঝামেলা হোক, তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দূর্গাপূজা বন্ধ হয়ে যাক। . তাই তারা নিজেরা প্রকাশ্য জায়গায় মূর্তির পায়ের নিচে কুরআন শরীফ দিবে এটা বিশ্বাসযোগ্য না। একটু মাথা খাটালেই বোঝা যায় কোনো তৃতীয় পক্ষ দাঙ্গা-হাঙ্গামা চালানোর জন্য এই ঘৃণ্য কাজটি করেছে। . আমরা সবাই শান্ত থাকি প্লিজ । বিষয়টি দেখার জন্য প্রশাসন আছে তারা দেখুন। তবে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি/ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।
Total Reply(0)
Ruhul Amin Sujon ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১:৪৩ এএম says : 0
ভারত নিজেই একটা উগ্র সাম্প্রদায়িক দেশ।যেখানে ধর্মীয় কারণে মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় এবং দাঙ্গা হয়। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এখানে ভারতের নাক গলানো কাম্য নয়।
Total Reply(0)
মো:+শফিউর+রহমান ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:২৫ এএম says : 0
উগ্র হিন্দু শাসিত ভারত কয়েকবার তারা ক্ষমতায় । ক্ষমতায় থেকে যা ইচ্ছে মুসলমানদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে । .........................
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন