রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দেশের ৯২ শতাংশ জনগণের ঈমান, আক্বিদা, বিশ্বাস ও অনুভূতির সাথে সম্পৃক্ত। তাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতি ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা হয়েছে। যা এদেশের জাতিসত্তার পরিচয় বহন করে। সুতরাং যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতি বুঝতে সক্ষম নয়, যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিম পরিচিতি বাদ দিতে চায়, যারা মুসলিম জাতিসত্তা মুছে দিতে চায় তারাই কেবল রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কারো পক্ষে বাদ দেয়া সম্ভব নয়।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান, নির্বাহী সভাপতি ও জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা একে একে এম আশরাফুল হক এসব কথা বলেন। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দায়িত্বশীল জায়গা থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিরুদ্ধে এমন অসাংবিধানিক বক্তব্য মানায় না। কেউ ইচ্ছা করলেই সংবিধান থেকে রাষ্টধর্ম ইসলাম বাদ দিতে পারবে না বলেও এসময় তারা মন্তব্য করেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করান। এতে কয়েকটি অনুচ্ছেদকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো হিসবে নির্ধারণ করা হয়। এই মৌলিক কাঠামো কারো পক্ষেই সংশোধন করা সম্ভব নয় বলেও নেতৃদ্বয় উল্লেখ করেন।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হচ্ছে, সংবিধানের প্রথম ভাগের অংশ (২ক)। আর সংবিধানের প্রথম ভাগ হলো সংশোধন অযোগ্য। সুতরাং কোনো দল বা গোষ্ঠী, এমনকি জাতীয় সংসদ চাইলেও সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংশোধন করতে পারবে না। কেউ যদি মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করে, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। তারা আরো বলেন, যারা জোরগলায় রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেয়ার দিন তারিখ ঘোষণা করছেন, তাদের উচিৎ হবে সংবিধান ভালো করে পড়ে নেয়া অথবা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ব্যাপারটি বুঝে নেয়া। কারণ, ১৫তম সংশোধনীটি একটি কমিটি দিয়ে তিনি এই কাজটি নিজে করিয়েছেন। কোনো এমপি, মন্ত্রী রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে সংবিধান লঙ্ঘন ও শপথ ভংগের দায়ে তিনি সাংবিধানিকভাবে তার পদ ও আসন হারাবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন