স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে পূর্বানুমতি সম্পর্কিত প্রস্তাবনা এদেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির বিকাশে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। সতেরো কোটি মুসলমানের দেশে এই প্রস্তাবনা অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠী তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও মুসলিম জনগোষ্ঠী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই ধরনের প্রস্তাব উত্থাপনের পিছনে বিশেষ কোনো মহলের ষড়যন্ত্র আছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হিসেবে মুসলমানদের সংস্কৃতি আমাদের দেশের প্রধান সংস্কৃতি। আর এই সংস্কৃতির বিকাশ যুগ যুগ ধরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তথা মসজিদ মাদরাসার মাধ্যমেই হয়ে আসছে। এই বাস্তবতা মানতে যাদের কষ্ট হয় সেই নগণ্য সংখ্যক জনবিচ্ছিন্ন মহল দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার হীন মানসে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।
নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে এ ধরনের জনবিরোধী ও বিতর্কিত প্রস্তাবনা প্রত্যাহার পূর্বক বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত হননকারী মহলবিশেষের এসব অপতৎপরতা বন্ধে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নেতৃবৃন্দ হলেন, পার্টির আমীর আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, নায়েবে আমীর আলহাজ আবদুর রহমান চৌধুরী, মুফতী মুহাম্মাদ আলী কাসেমী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান খান আযহারী, হাফেজ মাওলানা সালামাতুল্লাহ, মাওলানা আবদুল খালেক নিজামী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী, মাওলানা মনজুরুল কাদের চৌধুরী, ডাঃ মাওলানা ইলিয়াস খান, সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমির প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব মাওলানা শেখ হুসাইন মুহাম্মাদ শাহজাহান ইসলামাবাদী, দফতর সচিব মুফতি দীনে আলম হারুনী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন