১৭ অক্টোবর/২০২১ প্রকাশিত ‘ডাক বিভাগের ফ্রাঙ্কেস্টাইন ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের কিছু অংশের প্রতিবাদ করেছেন মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী’র পক্ষে এডভোকেট নজরুল ইসলাম সেন্টু। মক্কেলের পক্ষে করা প্রতিবাদে তিনি প্রতিবেদনটিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন। তিন পৃৃষ্ঠার দীর্ঘ প্রতিবাদ লিপিতে প্রতিবাদকারী বলেন, আমার মক্কেলের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তাই কোনো টেন্ডার নেয়া বা কাজ না করে টাকা তোলার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে আমার মক্কেল এখন দেড় শ’ কোটি টাকার মালিক। প্রকৃত অর্থে আমার মক্কেলের নামে স্থাবর-অবস্থাবর ও পৈত্রিক সম্পদ-সব মিলিয়ে এক কোটি টাকারও মালিক নন। তার নিজের ও স্ত্রীর প্রতিষ্ঠানের নামে যা সম্পদ আছে তা আয়কর ফাইলে দেয়া আছে। প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য গোয়েবলসকেও হার মানিয়েছে বলেও দাবি করা হয় প্রতিবাদে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ডাক অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র, প্রতিবেদনে উল্লেখিত মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা আত্মসাত’ অভিযোগে পৃথক একটি অনুসন্ধান (স্মারক নং-০০.০১.০০০০.৫০৩.২৬.০২১.২১-২৩৩৮৮) শুরু করেছে। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর একই শাখার উপ-পরিচালক হেলাল শরীফ এক অফিস আদেশে (স্মারক নং-০০.০১.০০০০.৫০১.০১.০৭৭.১৭.২৪৮৬৬৯) অনুসন্ধান টিম গঠন করেন। ৯ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক টিম অনুসন্ধান চালাচ্ছে। প্রতিবেদনের অধিকাংশ তথ্যই দুদক সূত্রে প্রাপ্ত।
প্রতিবাদকারী দাবি করেছেন যে, তার মক্কেল মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী নিজে কোনো ব্যবসা করছেন না। প্রতিবেদনেও এ কথা বলা হয়নি। বরং স্ত্রীর নামে করা লাইসেন্সের বিপরীতে (মেসার্স ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন) কোন্ কোন্ কার্যাদেশ পেয়েছেন তা স্মারক নম্বরসহ উল্লেখ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জিপিওর সঞ্চয় শাখা লোপাটের মামলাটি দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় তদন্ত করছে। দুদকের প্রধান কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ডাক বিভাগের দুর্নীতির তুলে ধরাই ছিলো প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। ব্যক্তি বিশেষ কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের হেয় প্রতিপন্ন করা নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন