শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

প্রস্তুত থাকুন, যেকোন মুহূর্তে ডাক আসবে: নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৫০ পিএম

দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। যেকোন মুহূর্তে আন্দোলনের ডাক পড়বে। সময় পাবেন অথবা সময় পাবেন না। আজকে যেমনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তার থেকে শতগুণ শক্তি নিয়ে রাজপথে থাকতে হবে। রাজপথে যে বাঁধা আসবে সেই বাঁধা অতিক্রম করতে হবে। আঘাত করলে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছোট ট্রাকে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে স¤প্রীতি শোভাযাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করার কারণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আঘাত করলে আমরা নির্ভয়ে মাথা পেতে নেবো না- এই কথাটা পরিষ্কারভাবে প্রশাসনকে এবং সরকারকে বলতে চাই। সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, দেশে শান্তি অবস্থা ফিরিয়ে আনুন। আর মন্দির হামলার সাথে জড়িত সেই প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করুন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে যে মামলা দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করুন, যাদের গ্রেফতার করেছেন তাদের মুক্তি দিন।

সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের আর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। তারা কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারেনি। তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে, মানুষের অধিকার ব্যাহত করে, জনমানুষের জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। তাই বলব, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটা নতুন নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন যাতে সকলে ভোট দিতে পারে, ভোটের মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখন হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপরে তারা আঘাত হেনেছে। তাদের লক্ষ্য একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে একটি মুক্ত সমাজ, একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যেখানে সম্প্রদায় সম্প্রদায় কোনো বিভেদ-বৈষম্য থাকবে না। সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে আজকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হতে দেয়া হবে না এবং নির্বাচনে যাবো না। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটিয়ে একটি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে আগামী দিনে নির্বাচন করব। সকলে আগামী দিনে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলনের মাধ্যমেই, অন্য কোনো পথ নেই। সেজন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে। এরশাদের সময়েও মন্দিরে হামলা হয়েছে। কিন্তু এরশাদের পতন কেউ ঠেকাতে পারেনি। আজকে মন্দিরে হামলা করে ক্ষমতা টিকানো যাবে না। এই জুলুমবাজ, স্বৈরাচারী, দুর্নীতিবাজ, তাবেদারী সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।

প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বিএনপির নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, হায়দার আলী খান লেলিন, আমিরুজ্জামান শিমুল, নিপুণ রায় চৌধুরী, অঙ্গসংগঠনের আফরোজা আব্বাস, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, হেলেন জেরিন খান, আরিফা সুলতানা রুমা, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম নয়ন, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, সাবেক ছাত্র নেতা আলমগীর হাসান সোহান, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন