বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশি নারী কর্মীদের পছন্দের শীর্ষে জর্ডান

আরব নিউজের প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

বাংলাদেশের দক্ষ পোশাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে জর্ডান। প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের পোশাককর্মীরা কাজের জন্য পাড়ি দিচ্ছেন মধ্যেপ্রাচ্যর এ দেশটিতে। বাংলাদেশের হাজার হাজার নারীরা চাকরি করছেন জর্ডানের পোশাকখাতে। এতে জর্ডানের অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হচ্ছে তেমনি বাংলাদেশি নারীদের জন্য কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গতকাল শনিবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ দক্ষ পোশাককর্মীদের জর্ডানে পাঠানো শুরু করে ২০১০ সালে। সরকারি পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এসব কর্মীদের পাঠানো হয়। গত কয়েক বছর ধরেই জর্ডানের পোশাকশিল্প ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। জর্ডানে বাংলাদেশি নারীকর্মীরা পোশাকখাতে কাজ করলেও মধ্যেপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে তারা গৃহস্থলির কাজ করছেন।
আম্মানে বাংলাদেশি দূতাবাসের তথ্যানুযায়ী, জর্ডানে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ হাজার নারীকর্মী কাজ করছেন। রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস কোম্পানির সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুস সোবহান বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমরা জর্ডানের পোশাকখাতে প্রায় ৫শ জন নারীকর্মী নিয়োগ করছি। এটা বাংলাদেশি নারীদের জন্য আয় করার ভালো সুযোগ। তারা দক্ষকর্মী হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরই দেশটিতে বাংলাদেশের কর্মীদের চাহিদা বেড়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে জর্ডানে মাত্র তিন হাজার ৭শ কর্মী কাজের অনুমতি পান। কিন্তু চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ১২ হাজারের বেশি নারীকর্মী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গেছেন।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, আমাদের নারী অভিবাসীদের জন্য এটি খুব ভালো সুযোগ কারণ তারা কোনো নির্যাতনের ঘটনা ছাড়াই বেশি উপার্জন করতে পারছেন। জর্ডানের নিয়োগকর্তারা কাজের অনুমতি, যাতায়াত, বাসস্থান এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রক্রিয়াকরণের সমস্ত খরচ বহন করে থাকেন।
আম্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, আমরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুবিধার্থে জর্ডান কর্তৃপক্ষ, জর্ডান চেম্বার অব কমার্স, জর্ডান গার্মেন্টস, এক্সেসরিজ অ্যান্ড টেক্সটাইল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং কারখানার মালিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আরও বাংলাদেশি কর্মী আনার জন্য আমরা জর্ডানের শ্রম মন্ত্রণালয়, অন্যান্য সরকারি সংস্থা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Emam hasan ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:২১ পিএম says : 0
আমি জর্ডানে যেতে চাই
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন