রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের টিকা কাল থেকে

প্রথম দফায় রাজধানীর ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে আগামী কাল পহেলা নভেম্বর থেকে। ফাইজারের টিকা দেয়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকতে হয়। এজন্য দেশের সব জেলাতেই ক্রমান্বয়ে প্রয়োজন মতো শীতাতপ ব্যবস্থাা ঠিক করে দেশব্যাপী ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেবার কাজ শুরু করা হবে। বর্তমানে ৭০ লাখ ফাইজারে টিকা রয়েছে। যা দিয়ে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। আগামী নভেম্ব^রে আরো ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা দেশে আসবে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় বলছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে।

স্বাস্থ্যা মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর যে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া টিকা দেওয়া হবে- ১. হার্ডক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল; ২. সাউথপয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ; ৩. চিটাগং গ্রামর স্কুল; ৪. কসমো পলিটন ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ; ৫. বীর শ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ; ৬. আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ; ৭. ঢাকা কমার্স কলেজ; ৮. কাকলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ; ৯. সাউথ ব্রীজ স্কুল; ১০. স্কুলাসটিকা স্কুল; ১১. বি.এইচ খান স্কুল এন্ড কলেজ; ১২. আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি।

এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দ্রুতই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের দেশের সব জেলা থেকে টিকা দেয়া হবে। গত বৃহস্পবিার মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে তিনি বলেন, পহেলা নভেম্বর থেকে ঢাকার ১২টি কেন্দ্রে এবং ঢাকার বাইরের ২১টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা দেয়ার জন্য কেন্দ্র বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী যেসব স্থানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা নেই সেখানে দ্রুততার সাথে শীতাতপ সুবিধা তৈরি করে ঢাকায় টিকা কেন্দ্র বাড়ানোসহ দেশের সব জেলায় ক্রমান্বয়ে টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে টিকার কোন সংকট নেই। ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টায় চীনের সিনোফার্মের আরো ৫৫ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এ নিয়ে এখন আমাদের হাতে প্রায় ২ কোটি ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। আগামীতেও এভাবেই টিকা আসতেই থাকবে। ডিসেম্ব^রের মধ্যেই টিকাদানের ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার ৫০ ভাগ পুরণ করা সম্ভব হবে। ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেবার পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষদের জন্যও টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শিক্ষার্থীদের টিকাদান বিষয়ে প্রস্ততি জানতে চাইলে স্বাস্থ্যা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে রাজধানীর ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধীত শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে অধিদপ্তরের এমএনসিএন্ডএইচ শাখা থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন