নেইট পার্কার পরিচালিত পিরিয়ড ড্রামা ধারার চলচ্চিত্র ‘দ্য বার্থ অফ এ নেশন’। এটি পার্কারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, তবে তিনি দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন এবং অনেকগুলো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পার্কার সচেতনভাবেই ১৯১৫ সালে মুক্তি পাওয়া জি. ডবিøউ. গ্রিফিথের ‘দ্য বার্থ অফ এ নেশন’ নামটি ব্যবহার করেছেন।
১৮৩১ সাল। মার্কিন গৃহযুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের সাউথহ্যাম্পটন কাউন্টি। দাসপ্রথা তখনও চলছে তবে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠছে। ন্যাট টার্নার (নেইট পার্কার) একজন শিক্ষিত কৃষ্ণাঙ্গ ধর্মযাজক, তবে সে এখনও ক্রীতদাস। কিছুটা স্বাধীনতা থাকলেও একেবারে শৈশব থেকেই সে বর্ণ বৈষম্যের শিকার। তার অধিকারী হল স্যামুয়েল টার্নার (আর্মি হ্যামার)। দাসদের কিছু অসহযোগিতার কারণে তার প্ল্যান্টেশন লোকসান দিচ্ছে। স্যামুয়েল অসহযোগিতাপরায়ণ দাসদের পদানত করার জন্য ন্যাটকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে। সে ন্যাটকে জানায় তার ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে সে যেন, নিষ্ঠুর হোক বা সদয়, দাসদের তাদের মনিবকে মেনে চলার জন্য উপদেশ দেয়। প্রথমে সে তা মেনে নিয়ে সেভাবেই ধর্মোপদেশ দেয়া শুরু করে। তার ধারণা ছিল এতে তার মনিব হয়তো তার প্রতি সদয় থাকবে। কিন্তু সে লক্ষ্য করে তার প্রতি বা অন্য দাসদের ওপর নিষ্ঠুরতা বা বৈষম্য একটুও কমেনি। এক শ্বেতাঙ্গ শিশুর প্রতি সদয় হবার কারণে সে শিশুটির বাবার চরম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়। সে সিদ্ধান্ত নেয় এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে সে দাসদের সংগঠিত করবে, দাসদের মুক্তির এক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন