ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় বসতঘর ভাংচুর করে মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি বাজার সংলগ্ন এলাকায় মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শহিদুল ইসলাম ঐ এলাকার মৃত এস্কেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে।এ ঘটনায় - গৃহকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামকে রাজাপুর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।শহিদের স্ত্রী ও শাশুড়িকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জাহাঙ্গীর, নুরুজ্জামান, জুয়েল তিন জনকে আটক করে। স্থানীয় মাসুদ হাওলাদার, পংকোজ হাওলাদার, সেনা সদস্য সেলিম , ইব্রাহীম জানায়, গতকাল ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায হঠাৎ করে উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মো. মিল্লাত হোসেন জম্মাদারের মেয়ে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে কর্মরত বিউটিশিয়ান চন্দিামা রিমুর নেতৃত্বে ৭০-৮০ জনের নারী কিশোর গ্যাং বাহিনী দেশীয় অস্ত্র রামদা, দা, লোহার রড়, হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে শহিদের বাড়িতে আসে।
এ সময় গৃহকর্তা শহিদ, তার স্ত্রী রুমিছা আক্তার ও শ্বাশুরি মজিদা বেগমকে মারধর করে দঁড়ি দিয়ে বেধে রেখে তাদের বসত ঘর ভাংচুর করে ধংসস্তুপে পরিনত করে ঘরে থাকা সমস্ত মূল্যবান মালামাল লুট করে পিকআপে তুলে নিয়ে যায়। শহিদের শাশুরী মজিদা বেগম আজ শুক্রবার বেলা১১ নৈকাঠী সরেজমিনে গেলে সাক্ষাৎকারে কেঁদে কেঁদে বলেন -আমার বয়স ৬৫ বছর, রাতে ঘুমাতে পারি নাই,ঘর,দরজা ভাংচুর করছে,ঘর মাটিতে পরে আছে।মালামাল ফ্রিজ সুকেচ নিযে গেছে, কোরান শরীফ,তাজবিহ,জায়নামাজ মযলা পানিতে ছুড়ে ফেলেছে, ১৯৭১ সনে আঃ হামেদ জমাদ্দার কুখ্যাত রাজাকার এই এলাকার নিরীহ মানুষের জান মালের বহু ক্ষতি করেছে,তাদের নির্যাতনে কেহ রেহাই পায়নি,যার ফলে তার স্ত্রীকে মুক্তিযোদ্ধারা মেরে ফেলেছে,মারার পরে ১০১ ভাগ করেছে,তারই (পুত্র মিল্লাতের পুত্রের ঘরের মেয়ে) নাতনি এই চন্দিমা রিমু বাহিনী,চন্দিমা রিমু বাহিনী আমার জামাইকে,মেয়েকে মধ্যযোগীয হামরা করে সব শেষ করে ফেলেছে।আমরা নিরুপায়,টিনের চাল, ঘরের খুটি সব মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে চন্দ্রিমা বাহিনী।আমার মেয়েকে বেধে রেখেছিল,মারধর করেছে,।রাতে খোলা আকাশের নিচে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে,রিমু বাহিনী খুন করার হুমকি দিয়ে যায, চুলা, হাড়ি পাতিল ভেঙ্গে ফেলেছে, রান্নার করা চুলা ভাংছে, ঘুমানোর মত বিছানা পত্র ময়লা পানিতে ফেলে গেছে।রিমু বাহিনীর তান্ডবে এলাকার কেহ বাধা দিতে আসতে পারেনি।একঘন্টা তান্ড চালায়,শহিদেন স্ত্রী রুমিছা জানায- ৩১ বছর বিবাহ হয়েছে, এই স্বামী, মা,শাশুরী নিযে ২০ বছর বসত করি,নানা শ্বশুরের জায়গা ওয়ারিশ সূত্রে মা পেয়েছে,সেই জায়গায় থাকি,পাশে শাশুড়ির কবর,মেযেটি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে থার্ড ইয়ারে পরে,একটি প্রবাসে, একটি স্কুলে পড়াশুনা করে,আমি কি করব,যুদ্ধ দেখিনা নাই শুনছি,তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্হা করেছে রিমু বাহিনী,আমি এর সুস্ঠু বিচার চাই।পরে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্হানীয প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাতকারে তারা বলেছেন- এই স্বাধীন দেশে দিনের বেলায় এমন লুটপাটকে যুদ্ধের সময়কেও হার মানিয়েছে। ভূক্তভোগী মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানায়, চন্দিামা রিমু নারী-পুরুষসহ এক দেড়শত ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর করে বেধে রেখে বসতঘর ভাংচুর করে সমস্ত মালামাল লুট করে পিকআপে করে নিয়ে যায়। ভাড়াটিয়া লোকের অস্ত্রের সামনে স্থানীয় লোক আসতে পারেনি। সবাই দূরে অবাক দৃস্টিতে দাঁড়িয়ে ছিল।জানাগেছে - জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, ঘটনা স্থল থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে, মামলা নং -০৮ তারিখ ৪/১১/২০২১।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন