নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীসহ তিন ডিজিটাল প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইটি অফিসারের ভুয়া পরিচয়ে জনৈক গোলাম রসুলের ব্যাংক হিসাব থেকে ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কক্সবাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন, ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বিষ্ণুপুর হক সাহেবের বাড়ির ওবায়দুল হকের ছেলে আবদুল্লাহ আল মাসুদ (২২), একই এলাকার কুরি বাড়ির বাবুল চন্দ্র কুরির ছেলে জীবন চন্দ্র কুরি (২৯) ও ফরিদপুরের মধুখালী থানার বনমালি দিয়াসিকদার বাড়ির মৃত ইব্রাহীম সিকদারের স্ত্রী সুইটি আক্তার (২৬)। তিনি বর্তমানে মাগুরা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দরিমাগুরা দোয়ারপাড় চুন্নু শেখের বাড়িতে বসবাস করেন।
গ্রেফতারের সময় প্রতারক আবদুল্লাহ আল মাসুদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইটি অফিসারের ভুয়া পরিচয়পত্র, চারটি ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, মোবাইল অ্যাকাউন্টসহ তিনটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের তিনটি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইটি অফিসারের ভুয়া পরিচয় দিয়ে আসামি আবদুল্লাহ আল মাসুদ বেগমগঞ্জের দূর্গাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে গোলাম রসুলের (৬২) সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। পরে সহযোগিদের নিয়ে কৌশলে প্রতারক মাসুদ ভুক্তভোগী গোলাম রসুলের ইমেইলের পাসওয়ার্ড হ্যাক করেন। এরপর ওই ইমেইল ব্যবহার করে গত ২১ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত গোলাম রসুলের চৌমুহনী এবি ব্যাংকের হিসাব নম্বর থেকে বিকাশ, রকেট ও নগদের মাধ্যমে ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৭ টাকা সরিয়ে আত্মসাত করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ভুক্তভোগী গোলাম রসুলের দায়ের করা প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আসামিদেরকে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে টাকা উদ্ধারসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামি আবদুল্লাহ আল মাসুদের বিরুদ্ধে ঢাকার ভাটারা থানায় আগেরও প্রতারণার মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন