কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজের সাতদিন পর একটি খাল থেকে ফাহিমা আক্তার নামে এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর আকবর সরকারের বাড়ির একটি খালের ব্রীজের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফাহিমা আক্তার (৫) দেবিদ্বার পৌরসভার চাপানগর এলাকার মো.আমির হোসেনের মেয়ে। ঘটনাস্থলে পিবিআই ও দেবিদ্বার থানা পুলিশের দুটি টিম পরিদর্শন করেন।
পুলিশ জানায়, কাচিসাইর এলাকার একটি খালে শিশুটিরে অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ফাহিমা গত ৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলো। এ নিয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন তার বাবা। ঘটনাস্থলে স্থানীয় কয়েকজন জানায়, সকালে বাজারে যাওয়ার পথে এক ব্যক্তি ব্যাগের খোলামুখে একট পা বের হয়ে থাকতে দেখে বাজারে গিয়ে কয়েকজনকে জানায়। পরে বাজারের কিছু লোকজন এসে খালের ব্রীজের নিচে ব্যাগের ভিতর পা দেখে শিশুর মরদেহ বলে নিশ্চিত হয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। কাচিসাইর গ্রামে শিশুর লাশ পাওয়া গেছে খবর শুনে ফাহিমার দাদা মো. জহিরুল ইসলাম ও বাবা মো. আমির হোসেন ছুটে আসেন। এসে ফাহিমার লাশ শনাক্ত করেন। ফাহিমার বাবা মো. আমির হোসেন জানায়, আমি ট্রাক্টরে কাজ করি। আমার পরিবারের সাথে কারও কোন শত্রুতা নেই। গত ৭ তারিখ আমার মেয়ে বাড়ি থেকে হারানো যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাইকিং করি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফাহিমা নিখোঁজের সংবাদ প্রচার করা হয়। এরপরও ফাহিগমার সন্ধান না পেয়ে গত ১১ তারিখ দেবিদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করি। দাদা মো.জহিরুল ইসলাম বলেন, ব্যাগে পাওয়া অর্ধগলিত লাশটি আমার নাতনি ফাহিমার। তাকে কে বা কারা মেরে এখানে ফেলে গেছে আমরা জানি না। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রহস্য বের করার দাবি জানাচ্ছি।
দেবিদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিশু ফাহিমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও পিবিআই কর্মকর্তারা এসেছে বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরে বিন্তারিত জানানো যাবে। # #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন