পটুয়াখালীর গলাচিপায় ইউপি নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় দুদা পল্লান নামে একজন নিহত হয়েছেন। সমর্থন না করায় নির্বাচনে বিজয়ী মেম্বার নাজিউর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীর হামলায় আরও আহত হয়েছেন কয়েকজন। নিহত দুদা পল্লান ৩নং গলাচিপা সদর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদ পল্লানের ছেলে। এ ঘটনায় গলাচিপা থানা পুলিশ বিজয়ী মেম্বার নাজিউর রহমান মঞ্জুসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার গলাচিপা সদর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচন শেষে মেম্বার হিসাবে বিজয়ী হন নাজিউর রহমান মঞ্জু। নির্বাচিত মঞ্জুর পক্ষ না করায় ওই দিন রাত সাড়ে ১১টায় মেম্বার মঞ্জু ও তার বড় ভাই মো. নেছারের নেতৃত্বে একদল সমর্থক মো. দুদা পল্লানকে খুঁজে বের করে দেশীয় অস্ত্র, ধারালো দা ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে কুপিয়ে জখম করে দুদাকে। এ সময়ে ধারালো দায়ের কোপে মাথার বাম পাশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে দুদার নাক মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে।
হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয়রা গুরুতর আহত দুদাকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দুদাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নেয়া হয় দুদাকে। ঢাকার একটি হাসপাতালে গত শনিবার দুদা পল্লান চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। এর আগে নিহতের স্ত্রী রেহানা বেগম বিজয়ী মেম্বার মঞ্জু ও নেছারসহ ২৩ জনকে আসামি করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা করেন।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, গলাচিপা থানায় মামলা হয়েছে। আমরা ১ ও ২ নম্বর আসামিসহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন