আজ (১৯ নভেম্বর) মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ঘোস্টবাস্টার্স’ সিনেমার প্রতীক্ষিত সিক্যুয়েল ‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’। আজ আন্তর্জাতিক মুক্তির দিনেই সিনেমাটি মুক্তি পাবে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও। এর আগে জুলাইতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল। গেল আগস্টে লাস ভেগাসের সিনেমাকন ইভেন্টে সিনেমাটি প্রদর্শনের পর দর্শক সমালোচকদের ব্যপক প্রশংসা পায়। তাই আশা করা হচ্ছে সাফল্যের দিক থেকে ‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’ ছাড়িয়ে যাবে আগের সিনেমাগুলোকে।
‘ঘোস্টবাস্টার্স: আফটার লাইফ’ সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে একজন অবিবাহিত মা এবং তার দুটি বাচ্চাকে কেন্দ্র করে। যারা একটি ছোট শহরে এসে আসল ভূতবাসীর সঙ্গে সংযোগ তৈরি এবং তাদের দাদার রেখে যাওয়া গোপন সম্পত্তির উত্তরাধিকার আবিষ্কারে চেষ্টা করে। জেসন রেইটম্যানের পরিচালিত এই সিনেমাটিতে সিগর্নি উইভারসহ মারে এবং আইক্রয়েড অভিনয় করেছেন। এছাড়া আগের পর্ব থেকে ফিরে আসা অভিনেতার মাঝে আরও রয়েছেন অ্যানি পটস ও এরনি হাডসন। পাশাপাশি সিনেমাটিতে নতুন যুক্ত হয়েছেন অভিনেতা পল রুড, ক্যারি কুন, ফিন উলফহার্ড ও ম্যাককেনা গ্রেস।
ঘোস্টবাস্টার্স সিরিজের সর্বশেষ সিনেমাতে কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর চারজনের ঘোস্টবাস্টার্স দলের সবাই ছিলেন নারী। চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন মেলিসা ম্যাককার্থি, ক্রিস্টেন উইগ, কেট ম্যাককিনন আর লেসলি জোন্স। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন থর-খ্যাত ক্রিস হেমসওয়ার্থ। সেই সিনেমাতে দেখা গেছে, শহরে রীতিমতো ভূতেদের একটা দলের আবির্ভাব ঘটে। আর তাদের মোকাবিলা করতে প্রোটন প্যাক নিয়ে মাঠে নামে উইগ-ম্যাককার্থি। সঙ্গে যোগ দেয় কেট ম্যাককিনন এবং লেসলি জোন্স। তাদের একজন থাকে ম্যাককার্থির সহযোগী। আরেকজন থাকে সাবওয়ে-কর্মী, যে প্রথম ভূতেদের দেখে। সিনেমাটি আশানুরূপ সাফল্য না পাওয়ায় এবারের ছবিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন পরিচালক রেইটম্যান।
ঘোস্টবাস্টার্স সিরিজের প্রথম দু’টি সিনেমা প্রযোজনা করেছিল কলম্বিয়া পিকচার্স। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব ‘ঘোস্টবাস্টার্স’ এবং ‘ঘোস্টবাস্টার্স টু’ যথাক্রমে মুক্তি পায় ১৯৮৪ এবং ১৯৮৯ সালে। প্রথমটি অবশ্য ছিল যৌথ প্রযোজনা। তৃতীয় সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে সনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট। অবশ্য পরিবেশক সেই কলম্বিয়া পিকচার্স-ই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন