যশোরের বাঘারপাড়ায় রিক্তা খানম নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার ঠাকুরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে দুপুরেই ধর্ষণে অভিযুক্ত নাজমুল হককে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের ঠাকুরকাঠি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার নিহত রিক্তা খানম একই গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে। শিশুটি স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মক্তব ভিত্তিক শিশু শ্রেণির ছাত্রী ছিল। প্রতিবেশি আক্তার আলী জানান, নিহত শিশুর পিতা ও প্রতিবেশি নাজমুল একই স্থানে বসবাস করে আসছেন। গতকাল শনিবার সকাল থেকে মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্দেহ হলে নাজমুলকে তার বাড়ির পাশে গর্ত খোড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তার চেহারায় অপরাধের চিহ্ন ভেসে উঠে। সাথে সাথে সেখান থেকে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে নাজমুল। এসময় অভিযুক্ত নিজ ঘরের খাটের নিচে বস্তার মধ্যে নিহত শিশুর লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশে সংবাদ দিলে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নাজমুলকে আটক করে পুলিশ। অনেকের ধারণা সকালের যে কোনো সময় শিশুটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন জানান, খবর পেয়েই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়। লাশ গুমের জন্য আসামি তার নিজ ঘরের খাটের নিচেই লুকিয়ে রাখে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন